সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৬/১১-র বর্ষপূর্তিতে মুম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিজ সইদকে গ্রেপ্তারি নিয়ে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিল আমেরিকা। হোয়াইট হাউসের স্পষ্ট বার্তা, পাকিস্তান যদি হাফিজ সইদের আটক করে ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে মার্কিন-পাক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে তার প্রভাব পড়বে।
[মিশরে নৃশংসতম জঙ্গি হামলায় মৃত বেড়ে ৩০৫, পালটা অভিযান শুরু সেনার]
বস্তুত, মার্কিন চাপের মুখে পড়েই গত জানুয়ারিতে মুম্বই হামলার মূলচক্রী ও জামাত-উদ-দাওয়া প্রধান হাফিজ সইদকে গৃহবন্দি করেছিল পাকিস্তান। প্রায় দশ মাস গৃহবন্দি ছিল এই জঙ্গিনেতা ও তার চার অনুগামী। হাফিজের বিরুদ্ধে কাশ্মীরের জঙ্গি কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগও স্বীকার করে নিয়েছিল পাক স্বরাষ্ট্রমন্ত্র। ঘটনা হল, হাফিজের বিরুদ্ধে আদালতে কোনও জোরালো প্রমাণ পেশ করতে পারেনি পাকিস্তান সরকার। তাই এই জঙ্গিনেতার আবেদনে সাড়া দিয়ে, তাকে ও তার অনুগামীদের গৃহবন্দি দশা থেকে মুক্তি দিয়েছে লাহোর হাই কোর্ট। মুক্তি পেয়েই হাফিজ সইদের হুঁশিয়ারি, কাশ্মীরের আজাদির জন্য লড়াই চলবে। তবে এই ঘটনা যে আমেরিকা একেবারেই ভাল চোখে দেখছে না, তা স্পষ্ট করে দিল হোয়াইট হাউস। শনিবার ট্রাম্প প্রশাসনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হাফিজ সইদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পেশে ব্যর্থতা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় পাকিস্তানের দায়বদ্ধতা নিয়ে উদ্বেগজনক বার্তা দিয়েছে। পাকিস্তান বরাবরই দাবি করে, যে নিজেদের ভূ-খণ্ডে সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দেবে না তারা। কিন্তু, হাফিজ সইদের মুক্তি সেই দাবি সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে, পাকিস্তান যদি আইন মোতাবেক হাফিজ সইদকে আটক করার জন্য পদক্ষেপ না করে, তাহলে পাক-মার্কিন দ্বিপাক্ষিকে তার প্রভাব পড়বে। আন্তর্জাতিক মহলে পাকিস্তানের ভাবমূর্তি ধাক্কা খাবে।
[ফের পাকিস্তানে নৈরাজ্য, অবরোধ তুলতে গিয়ে নিহত পুলিশ]
ঘটনাচক্রে, রবিবারই ২৬/১১-এর মুম্বই হামলার নবম বর্ষপূর্তি। এই উপললক্ষ্যে মুম্বই-সহ দেশের প্রতিটি শহর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মাধ্যমে স্মরণ করা হচ্ছে নিহতদের। এই আবহে পাকিস্তানকে আমেরিকার কড়া বার্তা দেওয়ার স্বাভাবিকভাবেই খুশি নর্থ ব্লক।
[গুলির শব্দে আতঙ্ক লন্ডনের অক্সফোর্ড সার্কাস স্টেশনে, জখম ১৬]