BREAKING NEWS

১১ আশ্বিন  ১৪৩০  শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

জানেন, কেন আচমকা লাল হয়ে উঠল এই সমুদ্রের জল?

Published by: Sangbad Pratidin Digital |    Posted: June 23, 2017 10:51 am|    Updated: June 23, 2017 10:51 am

Whale slaughter turns sea red in Denmark, draws flak

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গতবছর কুরবানি ইদের সময় বাংলাদেশের রাস্তার সেই ছবির কথা মনে আছে! রীতি অনুযায়ী পশু বলির পরেই বৃষ্টি হয়, তারপরেই তাতেই রাজধানী ঢাকার রাস্তা ভরে যায় লাল জলে। রক্তের কারণেই জলের রং হয়েছিল লাল। এবারও সামনে এসেছে তেমনই একটি ছবি। যা ফের একবার চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নেটদুনিয়ায়। রীতির নামে প্রায় দেড়শো-রও উপর তিমিকে হত্যা করার কারণে লাল হয়ে উঠল সমুদ্রের জল। সেই ছবিই সামনে এসেছে সম্প্রতি। যার জেরে শুরু হয়েছে বিতর্ক।

[রেসের ময়দানে প্রকাশ্যে যৌনতায় লিপ্ত যুগল, তারপর…]

ঘটনাটি ঘটেছে ডেনমার্কের অন্তর্গত ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জে। ‘গ্রিনদারাপ’ নামে সেখানকার মানুষের একটি বার্ষিক রীতি রয়েছে। ১৫৮৪ সাল থেকে চলে আসা এই রীতিতে তিমি শিকার করে সেটির মাংস খেয়ে থাকেন ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দারা। তখন থেকেই তিমির মাংস তাঁদের কাছে মূল খাদ্যের উৎস ছিল। সেজন্য এবছরও শিকার করা হয়েছে তিমি। জানা গিয়েছে, অন্তত ১৫০ থেকে ২০০ তিমির ঝাঁক ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় সেগুলিকে মাঝ ধরার জাহাজ, বোটের সাহায্যে পাড়ের দিকে নিয়ে আসা হয়। তারপরেই তোরশভান বিচে স্থানীয়রা সেগুলিকে একের পর এক নিধন করতে থাকেন। মাত্র ২০ মিনিটেই নিকেশ করা হয় সমস্ত তিমিকে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাটা হয় তাদের শিড়দাঁড়া। এই ঘটনার সাক্ষী ছিলেন কয়েকশো মানুষ। কিন্তু তাঁরা কেউই প্রতিবাদ করেননি। এরপর অপর একটি বিচে এভাবেই আরও আটটি সাদা ডলফিনকে মেরে ফেলা হয়।

[ভূতের আদেশ! তাই মেয়ের দু’কান কাটল বাবা]

গোটা ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ পশুপ্রেমী সংগঠনগুলি। রীতির নামে কেন নিরপরাধ প্রাণীদের মারা হবে? বিভিন্ন মহলে এই প্রশ্ন উঠছে। এমন নিষ্ঠুর রীতি অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত। ‘পেটা’-র পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘প্রত্যেকটি প্রাণীকে নিষ্ঠুরতার সঙ্গে মেরে ফেলা হয়েছে। গোটা পরিবারটিকে খুন করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি তিমি এরপর ওই জায়গায় ঘোরাফেরা করেছে। তিমি এবং ডলফিন কিন্তু খুবই বুদ্ধিমান। আমরা যতটা দুঃখ-কষ্ট, ভয় পাই, ওরাও পায়।’ ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই এই রীতির সমালোচনা করেছেন। দাবি তুলেছেন, অবিলম্বে রীতির নামে এইভাবে প্রাণীহত্যা যাতে বন্ধ করা হয়। এখন দেখার আগামিদিনে আদৌ এই নিয়ম বন্ধ করা হয় কিনা।

 

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে