Advertisement
Advertisement

মুসলিমকে বিয়ে, বাঙালি মহিলার শ্রাদ্ধের অনুমতি দিল না দিল্লির কালীমন্দির

মন্দির কর্তৃপক্ষের যুক্তি, বিয়ের পর ধর্ম খোয়া গিয়েছে মহিলার।

Delhi temple denies last rites to woman for marrying Muslim
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:August 10, 2018 12:11 pm
  • Updated:August 11, 2018 9:34 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভালবাসার টানে তিনি বিয়ে করেছিলেন অন্য ধর্মের পুরুষকে। সে প্রায় বছর ২০ হল। দুই পরিবারই দিব্যি মেনে নিয়েছে বিয়ে। কথা হচ্ছে দিল্লির বাঙালি পট্টির বাসিন্দা নিবেদিতা ঘটকের। বছর ২০ আগে তিনি বিয়ে করেছিলেন ইমতিয়াজুর রহমানকে। একসঙ্গে বসবাস করতেন দিল্লির বাঙালি পট্টি, চিত্তরঞ্জন পার্কের কাছে। প্রেমের টানে অন্য ধর্মে বিয়ে করলেও নিজের বিশ্বাস কিন্তু ত্যাগ করেননি নিবেদিতা। যতদিন বেঁচে ছিলেন ততদিন তিনি মনেপ্রাণে হিন্দুই ছিলেন। একনিষ্ঠভাবে পালন করে এসেছেন হিন্দু ধর্মের সকল রীতিনীতি। অথচ তাঁর মৃত্যুর পর শ্রাদ্ধ করারই অনুমতি পেল না পরিবার।

[দেওরিয়ার পর প্রতাপগড়, উত্তরপ্রদেশে হোম থেকে নিখোঁজ ২৬ জন মহিলা]

সম্প্রতি বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে মৃত্যু হয়েছে নিবেদিতার। তাঁর সৎকারও হয়েছে হিন্দু ধর্মের রীতি মেনেই। এরপর নিজের স্ত্রীর আত্মার শান্তি কামনার জন্য হিন্দু শাস্ত্রমতে শ্রাদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন নিবেদিতা ঘটকের স্বামী ইমতিয়াজুর রহমান। চিত্তরঞ্জন পার্কের একটি কালীমন্দিরে শ্রাদ্ধের জন্য বুকিংও করেন তিনি। মন্দির কর্তৃপক্ষ তাঁর কাছ থেকে মন্দিরের খরচ বাবদ নেয় ১৩ হাজার টাকা। ১২ আগস্ট অর্থাৎ আগামী রবিবার ওই কালীমন্দিরেই হওয়ার কথা শ্রাদ্ধ। কিন্তু বাদ সাধল মন্দির কর্তৃপক্ষ।সব আয়োজন শেষ হয়ে যাওয়ার দিন তিনেক আগে ইমতিয়াজুরকে জানিয়ে দেওয়া হল স্ত্রীর শ্রাদ্ধ তিনি করতে পারবেন না। কারণ জানতে চাইলে মন্দির কর্তৃপক্ষের যুক্তি, যেহেতু নিবেদিতা দেবী মুসলিম পরিবারে বিয়ে করেছিলেন তাই তিনি আর হিন্দু ধর্মের নন। অহিন্দুদের শ্রাদ্ধের অনুমতি মন্দির কর্তৃপক্ষ দিতে পারবে না।

Advertisement

[ফের সম্মান রক্ষার বলি, বাবার নির্দেশে আদালত চত্বরে খুন তরুণী]

মন্দির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারাও ওই একই কথা বলেন। তারা বলেন, ইমতিয়াজুরকে বিয়ে করার পরই ধর্ম খোয়া গিয়েছে নিবেদিতার। তিনি মুসলিমে ধর্মান্তরিত হয়েছেন। ইমতিয়াজুর মন্দিরে শ্রাদ্ধের অনুমতি নেওয়ার সময় নিজের ধর্ম পরিচয় গোপন রেখেছিল, মন্দির কর্তৃপক্ষ জানতই না যে সে মুসলিম। জানলে শুরুতেই তাঁর বুকিং নেওয়া হত না। নিবেদিতার শেষ ইচ্ছে ছিল তাঁর শ্রাদ্ধ হিন্দুমতেই হোক। সেকথা মন্দির কর্তৃপক্ষকে জানালে মন্দির কমিটির সভাপতি অসিতাভ ভৌমিক অদ্ভুত যুক্তি খাঁড়া করেছেন। তাঁর আশঙ্কা, স্ত্রীর শ্রাদ্ধ করা ইমতিয়াজুরের উদ্দেশ্য নাও হতে পারে। নিজের ৫০-১০০ জন মুসলিম আত্মীয়কে এনে সে যদি মন্দির চত্বরে নমাজ পড়া শুরু করে তাহলে তাঁর দায় কে নেবে?

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ