সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফোটোশুটে হাঙরের কামড় খেলেন মার্কিন মুলুকের ইনস্টাগ্রাম মডেল। তবে রক্ত পিপাসু হাঙরের কবল থেকে প্রাণ নিয়ে বেঁচে ফিরেছেন বছর উনিশের মডেল ক্যাটরিনা এলি জারুৎস্কি। তবে মডেলকন্যার কবজিতে আটকে রয়েছে হাঙরের দাঁতের টুকরো। চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচারে দাঁত বের করলেও ক্ষতচিহ্ন যে লুকোবে না, তা জানিয়েই দিয়েছেন। তানিয়ে মন খারাপ করছেন না তরুণী মডেল। হাঙরের মুখ থেকে হাত বাঁচিয়ে জীবন নিয়ে ফিরতে পেরে খুশি তিনি।
কীভাবে ঘটল এমন ঘটনা ?
আদতে ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা এলি জারুৎস্কি ফ্লোরিডার মিয়ামি বিশ্ববিদ্যালয়ের নার্সিংয়ের ছাত্রী। সেইসঙ্গে জনপ্রিয় ইনস্টাগ্রাম মডেলও। সেই তিনিই প্রেমিক ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে যান ফ্লোরিডার দক্ষিণ-পূর্বের আকর্ষণীয় ট্যুরিস্ট স্পট স্ট্যানিয়েল-কে দ্বীপে। হোটেল লাগোয়া জলাশয়ে হাঙড় রয়েছে জানতে পেরে তাদের সঙ্গে সাঁতার কাটার বায়না ধরেন মডেলকন্যা। প্রেমিকার ইচ্ছেতে বাধা দেননি প্রেমিকপ্রবর। এলি জারুৎস্কি আগেই শুনেছিলেন এসব হাঙররা বেশ নিরাপদ। চাইলে রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার জন্য এই হাঙরদের সঙ্গে জলকেলি করাই যায়। যেমন ভাবা তেমন কাজ। সাঁতারের আনন্দে সাতপাঁচ না ভেবে নেমে পড়েন জলে। প্রথমে বেশ কাটছিল। মডেল কন্যার আশপাশ থেকে ঘুরছিল হাঙররা। বেশ উপভোগ করছিলেন ক্যাটরিনা এলি জারুৎস্কি। তবে ইন্দ্রিয়কে আর কতটা এড়াবে এই জলজ প্রাণ। আচমকাই মডেল কন্যার কবজিতে কামড় বসায় হাঙড়। সাঁতারের আনন্দে প্রথমে কামড়ের অনুভূতি বোঝেননি ক্যাটরিনা। হঠাৎ দেখেন কবজি কামড়ে ধরে তাঁকে জলের তলায় টেনে নিয়ে যাচ্ছে হাঙড়। মুহূর্তে ব্যথার কথা ভুলে গিয়ে প্রাণপণে হাঙড়ের মুখ থেকে হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করেন। সৌভাগ্যক্রমে তাঁর প্রচেষ্টা বিফলে যায়নি। ক্ষতিগ্রস্ত হাতটিকে একপ্রকার ঢেকে জলের উপরে ভেসে ওঠেন ক্যাটরিনা এলি জারুৎস্কি। তড়িঘড়ি প্রাথমিক চিকিৎসারও ব্যবস্থা করা হয়।
Do it for the gram eh
Katarina Zarutskie , Instagram model voulant se filmer avec des requins s’est fait mordre au bras .
Le requin l’a entraînée.
Elle n’est pas morte mais a verrouillé son compte pour le moment.
Elle a quand même posté les photos de son attaque
What a wawu. pic.twitter.com/a7IPrZVI6M— Chouchou Mpacko 🇨🇲 (@ChouchouMpacko) July 11, 2018
পরে ফ্লোরিডা শহরে ফিরে হাসপাতালে ভরতি হন ক্যাটরিনা। সংবাদমাধ্যমের কাছে গোটা ঘটনার কথা বলেছেন তাঁর প্রেমিকের বাবা। একটু সুস্থ হওয়ার পর ক্যাটরিনা জানান, ‘হাতে যন্ত্রণা হচ্ছিল। তবুও হাত ঢাকা দিয়েই ওপরে আসার চেষ্টা করেছি। পাছে রক্তের রেখা দেখে অন্য হাঙররা পিছু না নিতে পারে। এখন ভাল আছি। মিয়ামিতে ফিরে গিয়ে ভালভাবে চিকিৎসা করাবো। কেননা হাঙরের কামড়ে সংক্রমণের সম্ভাবনা প্রবল।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.