সুকুমার সরকার, ঢাকা: স্কুলছাত্রীকে
ধর্ষণের পর ভেন্টিলেটর দিয়ে বাড়ির বাইরে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ৷ এই নারকীয় ঘটনায় নাম জড়াল মোক্তার হোসেন নামে এক পুলিশকর্মীর৷ নির্যাতিতাকে গুরুতর আহত অবস্থায় রবিবার রাতে উদ্ধার করা হয়৷ বর্তমানে মাদারিপুর সদর হাসপাতালে ভরতি রয়েছে সে৷ এর আগে মাদারিপুরে একটি আবাসিক হোটেলে উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়াকে গণধর্ষণের পর খুন করা হয়।
মাদারিপুর পুলিশ লাইনে কর্তব্যরত মোক্তার হোসেন শহরের টিবি ক্লিনিক সড়কের ভাড়াবাড়িতে বসবাস করেন। কয়েকদিন আগে মোক্তারের স্ত্রী গ্রামের বাড়ি চলে যান। অভিযোগ, সেই সুযোগে রবিবার রাতে প্রতিবেশী এক স্কুলছাত্রীকে ঘরে ডেকে আনে সে৷ সেখানেই তাকে ধর্ষণ করা হয় বলেও অভিযোগ৷ আরও অভিযোগ, ধর্ষণের পর ওই স্কুলছাত্রীকে মোক্তার হোসেন ঘরের পিছনের ভেন্টিলেটর দিয়ে বাইরে ফেলে দেওয়া হয়। প্রতিবেশীরা বলেন, ‘‘দীর্ঘক্ষণ ঘরের মধ্যে ওই মেয়েকে নিয়ে থাকায় তাদের সন্দেহ হয়। পরে আমরা বাইরে থেকে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলাম৷ বিপদ বুঝে মেয়েটিকে ভেন্টিলেটর দিয়ে বাইরে ফেলে দেয় সে।’’
ধর্ষণ এবং মারধরের ঘটনায় ওই ছাত্রী গুরুতর আহত হয়। নির্যাতিত বলে, ‘‘মোক্তার তাকে ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়৷ এরপর ধর্ষণ করে। তারপর ভেন্টিলেটর দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়৷ ফেলে দেওয়ার আগে লাঠি দিয়ে মারধরও করা হয়৷’’ নির্যাতিতার পা ভেঙে গিয়েছে। মাদারিপুর সদর হাসপাতালেই আপাতত চিকিৎসা চলছে তার৷ কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মফিজুল ইসলাম লেনিন জানান, মেয়েটির পায়ের হার ভেঙে গিয়েছে। এদিকে, পাঁচ-ছজন দুষ্কৃতী মিলে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণ করার ঘটনায় থমথমে উলিপুর গ্রামে৷ এখনও পর্যন্ত অপহৃত ওই ছাত্রীর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি৷ তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছেন পুলিশ আধিকারিকরা৷ বাংলাদেশে ক্রমশই বাড়ছে নারী নিগ্রহের ঘটনা৷ যার জেরে আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ৷ এই ঘটনা ভাবাচ্ছে প্রশাসনিক আধিকারিকদেরও৷