Advertisement
Advertisement
USA

‘…দেখো সবাই’, পড়ুয়াদের সামনেই ছাত্রের সঙ্গে সঙ্গমে মাতলেন শিক্ষিকা, তার পর…

স্কুলের মাঠেই একাধিকবার সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছেন তাঁরা।

OMG! USA teacher allegedly harassed student, threatened others in school premises | Sangbad Pratidin

নিজস্ব চিত্র।

Published by: Anwesha Adhikary
  • Posted:January 11, 2024 7:41 pm
  • Updated:January 11, 2024 9:01 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্কুলের মাঠে ১৬ বছর বয়সি ছাত্রের সঙ্গে সঙ্গম শিক্ষিকার। তাজ্জব করা ঘটনাটি ঘটেছে আমেরিকায় (USA) মিসৌরির একটি হাইস্কুলে। ছাত্রের সহপাঠীরা প্রতিবাদ করতে গেলে শিক্ষিকা সাফ নির্দেশ দেন, “দূরে দাঁড়িয়ে চুপচাপ দেখো”। ঘটনা জানাজানি হতেই পালিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই শিক্ষিকাকে।

জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষিকার নাম হেইলি ক্লিফটন কারম্যাক। মিসৌরির (Missouri) একটি হাইস্কুলে অঙ্কের শিক্ষক ছিলেন তিনি। সেই সময়েই ১৬ বছর বয়সি এক ছাত্রের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। একাধিকবার হেইলির নিগ্রহের শিকার হয়েছিল ওই পড়ুয়া। তার দেহের নানা অংশে আঘাতের চিহ্নও মিলেছে। নির্যাতিত পড়ুয়ার বাবার দাবি, স্কুলের মাঠেই একাধিকবার সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছেন হেইলিরা। সেই সময়ে অন্য পড়ুয়াদের সাবধান করে দিয়ে হেইলি বলেছেন, “দূর থেকে দেখো কিন্তু কাউকে কিছু বলবে না।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘টানাপোড়েন থাকলেও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চলুক’, নিজ্জর বিতর্কের মাঝে হঠাৎ সুর নরম কানাডার!]

পরে পুলিশের কাছে গিয়ে গোটা ঘটনাটি জানায় নির্যাতিত কিশোরের এক সহপাঠী। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই হেইলির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে স্থানীয় পুলিশ। ধর্ষণ, শারীরিক নিগ্রহের মতো একাধিক ধারায় দায়ের হয় অভিযোগ। তদন্তে নেমে জানা যায়, স্কুলের অধ্যক্ষাও জানতেন এই বিষয়টি। তদন্তের স্বার্থে ফোন চাইলে সেটিও পুলিশের হাতে তুলে দেন হেইলি। সেখানেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ মেলেনি।

Advertisement

শেষ পর্যন্ত ফোনের অ্যাপগুলোর পাসওয়ার্ড চাইতেই বেঁকে বসেন হেইলি। বিশেষ প্রযুক্তি দিয়ে ফোন খুলতেই নির্যাতিত পড়ুয়ার সঙ্গে তাঁর চ্যাট ফাঁস হয়ে যায়। কিন্তু ততদিনে মিসৌরি থেকে টেক্সাসে পাড়ি দিয়েছেন হেইলি। শেষ পর্যন্ত টেক্সাস (Texas) থেকেই গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। আপাতত মিসৌরিতে প্রত্যর্পণ করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। সেই সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছে নিগৃহীত পড়ুয়ার বাবাকেও, কারণ ছেলের হেনস্তার কথা জানতেন তিনি। তা সত্ত্বেও কোনও পদক্ষেপ করেননি। 

[আরও পড়ুন: ‘মোমোয় আরও চাটনি চাই’, বলতেই বিক্রেতার ছুরির কোপ ক্রেতাকে

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ