সুকুমার সরকার, ঢাকা: ফের বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গুলির লড়াই। নিহত হয়েছেন শিবিরের এক প্রহরী। এলাকা দখল ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নিত্যদিন হানাহানি লেগেই রয়েছে রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে। গৃহযুদ্ধ থেকে বাঁচতে মায়ানমার থেকে পালিয়ে এসেও প্রাণরক্ষা হচ্ছে না রোহিঙ্গাদের। এদিকে, নাশকতার ছক বানচাল করে কক্সবাজার থেকে ৩ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, সোমবার ভোর তিনটের দিকে উপজেলার পালংখালি ইউনিয়নের হাকিমপাড়া ১৪ নম্বর ক্যাম্পে এই কাণ্ড ঘটে। ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের ক্যাপ্টেন (অতিরিক্ত ডিআইজি) মহম্মদ আমির জাফর জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ১৪ নম্বর বালুর মাঠ এলাকায় গভীর রাতে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশন (আরএসও) মধ্যে গুলির লড়াই হয়। কিশোরী-তরুণীদের দিয়ে জোর করে দেহব্যবসা, বিদেশে পাচার, মাদক কারবারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ক্যাম্পগুলোতে খুনোখুনি লেগেই আছে। একজন নৈশপ্রহরীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে সেখান থেকে। গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এমএসএফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফলদণ্ডী উপকূল এলাকায় যৌথ অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের তিন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে এলিট বাহিনী র্যাব। তাদের কাছ থেকে বহু উগ্রবাদী বই,বিস্ফোরক তৈরির ম্যানুয়াল, ডায়েরি, মাদ্রাসায় পড়ার পরিচয়পত্র, মোবাইল ও সাড়ে ৪ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়। ধৃতরা হল- জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার জাকারিয়া মণ্ডল (১৯), ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার নিয়ামত উল্লাহ (২১) ও ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার মহম্মদ ওজায়ের (১৯)। এখনও অভিযান জারি রেখেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.