Advertisement
Advertisement
Bangladesh

কালী প্রতিমা ভাঙচুর নিয়ে উত্তপ্ত বাংলদেশের ফরিদপুর, গ্রামবাসীদের মারে নিহত ২

গ্রামবাসীদের মারে জখম হয়েছেন আরও কয়েকজন।

2 allegedly killed in mob lynching in bangladesh for vandalized Kali idol

প্রতীকী ছবি

Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:April 19, 2024 6:45 pm
  • Updated:April 19, 2024 6:45 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: কালী প্রতিমা ভাঙচুর ও মন্দিরে আগুন লাগিয়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ফরিদপুর। গ্রামবাসীদের মারে প্রাণ গেল দুই শ্রমিকের। জানা গিয়েছে, গ্রামবাসীদের মারে জখম হয়েছেন আরও কয়েকজন শ্রমিক। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁদের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে আহত হন এক পুলিশ আধিকারিকও। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী ও র‍্যাব। 

বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে, ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লি গ্রামে। এলাকা সূত্রে খবর, এদিন সন্ধ্যেবেলা পঞ্চপল্লি গ্রামের কালী মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়। আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয়। ওই মন্দির থেকে খানিক দূরে পঞ্চপল্লি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শৌচাগার নির্মাণের জন্য কয়েকজন শ্রমিক করছিলেন। প্রতিমা ভাঙচুর নিয়ে ওই শ্রমিকদের সঙ্গে কালীপুজোর আয়োজকদের বিবাদ বাঁধে। নির্মাণ শ্রমিকরাই মন্দিরে হামলা করে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে এমন অভিযোগ তুলে ওই শ্রমিকদের পিটিয়ে দেয় এলাকাবাসী। তাতে গুরুতর আহত হন কয়েকজন। আহতদের ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে নির্মাণশ্রমিক দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন, মধুখালী উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের আশরাফুল (২১) ও আশাদুল (১৫)।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মাতলামি, চুলোচুলি, শাড়ি টেনে খুলে দিলেন মদ্যপ তরুণীরা! নিন্দার ঝড় বাংলাদেশে]

এই ঘটনা নিয়ে এলাকাবাসীরা আরও জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ওই শ্রমিকদের সঙ্গে কালীপুজোর প্রতিমা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় কয়েকজন স্থানীয়ের। এর মধ্যে সন্ধ্যার দিকে ওই মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা। তখন স্থানীয়রা ধারণা করেন শ্রমিকরাই মন্দিরে হামলা করেছে। সেখান থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত হয়। ওই স্কুলের একটি ঘরে ওই শ্রমিকদের দড়ি দিয়ে বেঁধে বেদম মারধর করা হয়।

Advertisement

ঘটনার খবর পেয়ে মধুখালী উপজেলার নির্বাহী আধিকারিক (ইউএনও) মামনুন আহমেদ ও ওসি মিরাজ হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ সেখানে পৌঁছায়। কিন্তু তাঁদেরকে ঢুকতে দেয়নি বিক্ষুব্ধ জনতা। ঘটনাস্থলের অদূরে তাদের ঘিরে রাখে এলাকাবাসী। ঘণ্টাখানেকের বেশি সময় তারা অবরুদ্ধ ছিলেন। এর পর ফরিদপুর পুলিশ লাইনস, রাজবাড়ী পুলিশ লাইনস, মাগুরার শ্রীপুর থানা ও ফরিদপুর থেকে র‍্যাবের সদস্যরা গিয়ে শূন্যে গুলি ছোড়ে। সাউন্ড গ্রেনেড ফাটিয়ে ঘটনাস্থলে প্রবেশ করে। এর পর আহত অবস্থায় ওই সাত শ্রমিককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এই ঘটনায় ননী গোপাল নামে মধুখালী থানা পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক জখম হয়েছেন।

[আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ব্যাটারি কারখানায় বিস্ফোরণ, নিহত চিনা ইঞ্জিনিয়ার]

এনিয়ে ফরিদপুরের জেলা শাসক মহম্মদ কামরুল আহসান তালুকদার জানান, পুলিশ আহত সাতজনকে উদ্ধার করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। রাতেই সেখানে দুজনের মৃত্যু হয়। এলাকায় পুলিশ ও র‍্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের পাশাপাশি আজ, শুক্রবার ফরিদপুর শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড় ও মধুখালীতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ