Advertisement
Advertisement

Breaking News

ধর্ষণ

প্রধান শিক্ষকের যৌন লালসার শিকার, অন্তঃসত্ত্বা চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী

অপ্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় কিশোরীর শারীরিক অবস্থা ভাল নয়।

A school girl allegedly raped by her head master in Bangladesh

ছবি: প্রতীকী।

Published by: Sayani Sen
  • Posted:December 14, 2019 2:47 pm
  • Updated:December 14, 2019 2:49 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: প্রধান শিক্ষকের যৌন লালসার শিকার চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রী। প্রধান শিক্ষক এবং দুই প্রতিবেশীর নির্যাতনে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে ওই কিশোরী। তারপরই ধর্ষণের কথা জানাজানি হয়। ওই ছাত্রী প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে আপাতত বাংলাদেশের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজে ভরতি। অপ্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় কিশোরীর শারীরিক অবস্থা বিশেষ ভাল নয় বলেই দাবি চিকিৎসকদের। 

অভিযোগ, প্রায় ন’মাস আগে বাকেরগঞ্জের প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাকে প্রথমবার ধর্ষণ করে। অন্য এক শিক্ষিকা তাকে এ কাজে সাহায্য করে বলে অভিযোগ। এরপর জুয়েল ও রনি খালি নামে দুই প্রতিবেশী ওই কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের চাপে শিক্ষক ও দুই প্রতিবেশীর নামে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে যেতে পারেনি নির্যাতিতা এবং তাঁর পরিজনেরা। তবে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় ধর্ষণের বিষয়টি জানাজানি হয়। ১০ ডিসেম্বর রাতে বাকেরগঞ্জ উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। প্রসূতি বিভাগ-২-এর সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. মৃদুলা কর জানান, কিশোরীর প্রকৃত অবস্থা জানতে বেশ কিছু পরীক্ষানিরীক্ষা দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত টাকার অভাবে কোনো পরীক্ষানিরীক্ষা করতে পারেনি শিশুটির পরিবার। রিপোর্ট চিকিৎসকদের হাতে আসার পরই তার শারীরিক অবস্থা জানা যাবে। তবে অপরিণত বয়সে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় ওই শিশুর শারীরিক অবস্থা বিশেষ ভাল নয় বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: CAB নিয়ে ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ! মন্ত্রীদের সফর বাতিলের পর এবার তলব ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে]

এদিকে এ ঘটনায় নির্যাতিতার মা বাকেরগঞ্জ থানায় একটি মামলা রুজু করেছেন। ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দেওয়ার আগে উপজেলার ফরিদপুর ইউপি সদস্য, চেয়ারম্যান, স্থানীয় প্রভাবশালী ও স্কুলের শিক্ষকরা প্রধান শিক্ষকের নাম বলতে নিষেধ করেন। প্রধানশিক্ষকের নাম বললে সে কোনো বিচার পাবে না এবং লোকে তাকেই বরং খারাপ জানবে বলে ভয়ভীতি দেখান বলে অভিযোগ করে শিশুটি। দায়সারা গোছের তদন্ত শেষে পুলিশ ওই মামলায় জুয়েল নামে এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। ওই মামলায় বর্তমানে জুয়েল কারাগারে রয়েছে। শুক্রবার নির্যাতিতাকে দেখতে হাসপাতালে যান বরিশালের পুলিশ সুপার মহম্মদ সাইফুল ইসলাম। তিনি ওই শিশুর চিকিৎসার খরচ করবেন বলে জানান। মামলার অভিযোগপত্র থেকে কেন অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক-সহ অন্যদের বাদ দেওয়া হয়েছে তা খতিয়ে দেখে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন পুলিশ সুপার।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ