সুকুমার সরকার, ঢাকা : নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, ২০১৯ (CAB)-এর প্রতিবাদে উত্তপ্ত গোটা দেশ। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্কেও তার আঁচ পড়েছে। দু’দেশের সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যেই বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনারকে ডেকে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশী কূটনীতিক ও দূতাবাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলল হাসিনা সরকার। এই ঘটনার মাত্র কয়েকঘণ্টা আগেই ভারত সফর বাতিল করেছেন বাংলাদেশের দুই মন্ত্রী। একের পর এক এই ধরণের ঘটনা কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এদিকে, শুক্রবার সকাল থেকে বাংলাদেশ-ভারতের ডাউকি সীমান্ত দিয়ে ভারতে আসা-যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে ভারতীয় ইমিগ্রেশন বিভাগ।
সিএবির বিরোধিতায় উত্তর-পূর্ব ভারত অশান্ত। ব্যতিক্রম নয় অসম। এরমধ্যেই গুয়াহাটিতে দূতাবাসের সামনে দু’টি সাইনবোর্ডে কালি লেপে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এমনকী বিমানবন্দর থেকে বেরনোর পথে বিক্ষোভের মুখে পড়েন বাংলাদেশের অ্যাসিস্ট্যান্ট হাই কমিশনারও। এরপরই নড়েচড়ে বসে ঢাকা।
[আরও পড়ুন : ফোর্বসের প্রভাবশালীদের তালিকায় নির্মলা, পিছনে ফেললেন রানি এলিজাবেথ-ইভাঙ্কা ট্রাম্পকে]
এরপরই ভারতের হাই কমিশনার রিভা গঙ্গোপাধ্যায় দাসকে ডেকে পাঠান সে দেশের ভারপ্রাপ্ত বিদেশ সচিব কামরুল আহসান। পরে বিবৃতি প্রকাশ করে বাংলাদেশ বিদেশমন্ত্রক জানায়, “গুয়াহাটিতে অ্যাসিস্ট্যান্ট হাই কমিশনারের কনভয়ে হামলা চালানো হয়।এমনকী দূতাবাসের সামনেও ভাঙচুর করা হয়েছিল। যার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন কামরুল আহসান। সেখানে নিযুক্ত কূটনীতিক এবং দূতাবাসের সম্পত্তির নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য ভারত সরকারের কাছে আবেদনও জানিয়েছেন।’’ ভারতের তরফে বাংলাদেশ সরকারকে সঙ্গে সঙ্গেই আশ্বস্ত করা হয়। রিভা গঙ্গোপাধ্যায়কে উদ্ধৃত করে ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘দূতাবাস চত্বর, হাইকমিশনের বাসভবন, সেখানে কর্মরত আধিকারিক এবং তাঁদের পরিবারের নিরাপত্তা বাড়াতে পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন ভারতীয় হাই কমিশনার।’’
[আরও পড়ুন : জ্বলছে উত্তরপূর্ব, CAB বিক্ষোভের আঁচ দিল্লি-সহ গোটা দেশে]
এদিকে নিরাপত্তাহীনতার কারণ দেখিয়ে ডাউকি পর্যটকদের যাতায়াত সাময়িক বন্ধ রেখেছে ভারতীয় ইমিগ্রেশন বিভাগ। বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন ল্যান্ড অ্যান্ড সি পোর্টের এসপি মো. মনিরুজ্জামান জানান, আজ বাংলাদেশ থেকে ইমিগ্রেশন শেষে ভ্রমণকারীরা ভারতে ঢুকলে সেখান থেকে তাদের ফেরত পাঠানো হয়।পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতিতে ভ্রমণকারীদের বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন বাতিল করেন তাঁরা। তবে ভারত ইমিগ্রেশন পূর্ব থেকে বিষয়টি বাংলাদেশ ইমিগ্রেশনকে অবহিত করেনি। এদিকে তামাবিল স্থল বন্দরের সহকারী পরিচালক ট্রাফিক পার্থ ঘোষ জানান, দুদেশের মধ্যে পণ্য পরিবহন স্বাভাবিক রয়েছে।