প্রতীকী ছবি
সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের জেরে মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সরকারের তরফে সাধ্যমতো চেষ্টা করা হলেও কিছুতেই লাগাম টানা যাচ্ছে না সংক্রমণের। আগামী ২১ দিন বাংলাদেশের পক্ষে খুবই বিপজ্জনক হতে পারে বলে মন্তব্য করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৯৬৯ জন এবং মারা গিয়েছে ১১ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৫ জন, চট্টগ্রামে ২ জন, নারায়ণগঞ্জে একজন, নরসিংদীতে ১ জন ও সিলেটে ১ জন। এর ফলে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৫০ জনে। আর আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে পৌঁছল ১৬ হাজার ৬৬০ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ২৪৫ জন। এই সময়ে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৬ হাজার ৮৪৫টি। এর মধ্যে পরীক্ষা হয়েছে ৬ হাজার ৭৭৩টি।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের গতিতে সপ্তাহখানেক আগেও এশিয়ার হটস্পট ছিল পাকিস্তান। গত কয়েকদিনে পাকিস্তানকে টপকে একলাফে শীর্ষে উঠে যায় ভারত। আর এখন প্রতিবেশী সবাইকে পিছনে ফেলে সামনে এগিয়ে বাংলাদেশ। যদিও গতকাল সোমবার ও আজ মঙ্গলবার মৃত্যুর সংখ্যা একই রয়েছে ১১ জন। কিন্তু, হার তো কমেনি। অথচ বিশ্বের অনেক দেশে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা কমের দিকে। বাংলাদেশে এই মৃত্যু ও আক্রান্তের জন্য দায়ী করা হয়েছে পোশাকের কারখানা খুলে দেওয়া ও ঢিলেঢালা লকডাউনকে। এছাড়া ৫ লক্ষের বেশি প্রবাসী দেশে ফিরেছেন।। এবং প্রত্যেকদিন আরও অনেকে দেশে ফিরছেন। এই অবস্থায় উদ্বিগ্ন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বয়ং জাহিদ মালেকও। সপ্তাহখানেক আগে দেশে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কথাও স্বীকার করেছেন।
তিনি বলেছেন, ‘এর থেকে খুব সহজে নিস্তার মিলবে না। ইদ সামনে থাকায় এখন স্বাভাবিকভাবেই মার্কেট খোলা হয়েছে। দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান উপায় গার্মেন্টস খোলা হয়েছে। বিদেশি ক্রেতাদের অর্ডার বাতিল হলে হারানো বাজার ফিরে পেতে দুষ্কর হবে। গার্মেন্টস কারখানাগুলি খুলে যাওয়ায় কাজ হারানোর শঙ্কায় গ্রাম মানুষ দলে দলে ঢাকায় ছুটছেন। বাস ও অন্যান্য যানবাহন বন্ধ থাকায় তারা বাইসাইকেল, অটো, সবজিবাহী ট্রাক এমনকী হেঁটেই ঢাকা পৌঁচ্ছাছেন। কাজেই সংক্রমণ ও মৃত্যু যে বৃদ্ধি পাবে, এটি ধরেই নেওয়া যায়। তদুপরি ধরে নিতে হবে জীবন ও জীবিকা দুটোই পাশাপাশি চলছে। বেঁচে থাকার জন্য অর্থের প্রয়োজন। রেকর্ড পরিমাণ আক্রান্তের কারণে বিশ্বে বাংলাদেশ উঠে এসেছে ৩৪ নম্বরে।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.