Advertisement
Advertisement

Breaking News

রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরাতে উত্তপ্ত রাখাইনে ‘সেফ জোন’ তৈরি দাবি বাংলাদেশের

বাংলাদেশে বর্তমানে ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছেন।

Bangladesh demands safe haven for Rohingyas in Myanmar
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:August 26, 2020 2:45 pm
  • Updated:August 26, 2020 2:45 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরাতে মায়ানমারের রাখাইনে একটি ‘সেফ জোন’ তৈরির দাবি জানিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চের কাছে আবেদন জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিদেশ সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

[আরও পড়ুন: অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ, বেইরুট বিস্ফোরণে বিপাকে বাংলাদেশি শ্রমিকরা]

‘কানেক্টিং রোহিঙ্গা ডায়সপোরা’ শীর্ষক দু’দিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক আলোচনা সভায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভারচুয়াল প্লাটফর্মে তিনি এই আহ্বান জানান। বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায় বর্তমানে ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে রয়েছেন। অনেক রোহিঙ্গা শিবির থেকে পালিয়ে ভোটার কার্ড সংগ্রহ করে দেশের নানা জায়গায় বিয়ে করে বসবাস করছেন। যৌথভাবে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে সেন্টার ফর জেনোসাইড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, একশন এইড ও সেন্টার ফর জাস্টিস এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- গাম্বিয়ার আইনমন্ত্রী চেরনো মারানেহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ, সেন্টার ফর জাস্টিসের নির্বাহী পরিচালক মঞ্জুর হাসান এবং অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ প্রধান ফারাহ কবির।

Advertisement

এদিকে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের প্রথম দলটিকে কক্সবাজার জেলা থেকে ফের নোয়াখালি জেলার ভাসানচরে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। স্থানান্তরের প্রথম পর্যায়ে এদের সংখ্যা হবে এক লক্ষ। কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরের ওপর চাপ কমাতেই এ উদ্যোগ। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিকরণের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছে সরকার। সরকার বর্ষার মরশুমের পরপরই ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের পরিকল্পনা করছে। বিকল্প হিসেবে তৃতীয় দেশে অর্থাৎ মায়ানমার ও বাংলাদেশের বাইরে কোনও দেশে বড় পরিসরে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের চেষ্টাও বিবেচনায় আছে। কয়েক মাস আগে বঙ্গোপসাগরে ভাসমান নৌকায় অর্ধ সহস্র রোহিঙ্গার সন্ধ্যান মেলে। উদ্ধারের পাশাপাশি তাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার জন্য পশ্চিমা দেশগুলো চাপ দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে আশ্রয় দিতে পালটা আহবান জানান।

Advertisement

মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ঢলের তৃতীয় বছর পূর্ণ হয়েছে গত ২৩ আগস্ট। ২০১৭ সালে রাখাইনে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ ও ধর্ষণ-সহ বর্বর নির্যাতনের মুখে দলে দলে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। রোহিঙ্গা সংকটের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে তাদের কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর এবং তৃতীয় দেশে পুনর্বাসনের বিষয়টিও উঠে এসেছে। মায়ানমারের আশ্বাস সত্ত্বেও গত তিন বছরে একজন রোহিঙ্গাও প্রত্যাবাসন চুক্তির আওতায় ফিরে যায়নি। রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়নের জবাবদিহি উদ্যোগে অগ্রগতি হলেও প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে অগ্রগতি নেই। বড় শক্তিগুলোর স্বার্থের কারণে মায়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টিও বেশ কঠিন।

[আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার খলনায়ক জেনারেল জিয়া! জাতীয় শোকদিবসে সরব হাসিনা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ