Advertisement
Advertisement
Bangladesh

মায়ানমার ইস্যু নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা, দিল্লিতে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী

মায়ানমার ইস্যুতে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী ও বিজিবিকে ধৈর্য ধরতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Bangladesh Foreign minister coming to India to discuss Mayanmar issue | Sangbad Pratidin
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:February 6, 2024 9:06 pm
  • Updated:February 6, 2024 9:06 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশ সীমান্তে চলমান মায়ানমার ইস্যু নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা হবে বলে জানিয়ে দিলেন বিদেশমন্ত্রী হাসান মাহমুদ। মঙ্গলবার এক ব্রিফিংয়ে বিদেশমন্ত্রী বলেন, “ভারত আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র। মায়ানমারেরও প্রতিবেশী দেশ ভারত। দিল্লি সফরে ভারতের সঙ্গে বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা হবে।”

বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী আরও জানান, “এখনও পর্যন্ত ২২৯ জন মায়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী, বিজিপি ও তাদের পরিবারের সদস্য বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। এছাড়া তাদের ছোড়া মর্টার শেলে বাংলাদেশের সীমানায় দুজন নিহত হয়েছেন। এজন্য আমরা মায়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে তলব করে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছি।” বিদেশমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিনই দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবেন হাসান।

Advertisement

[আরও পড়ুন: অজিত পওয়ারের শিবিরই আসল NCP, ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের]

এদিকে মায়ানমারে যুদ্ধের জেরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে হতাহতের ঘটনা এবং আতঙ্কের প্রেক্ষাপটে সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে কক্সবাজার এবং বান্দরবান জেলা প্রশাসন। কক্সবাজারের জেলাশাসক মহম্মদ শাহিন ইমরান এবং বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মুজাহিদউদ্দিন জানান, ইতিমধ্যে তাঁরা সংশ্লিষ্ট উপজেলার আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন। বান্দরবান জেলার সীমান্তের ওপারে এদিনও থেমে থেমে গোলাগুলি চলেছে। দুই জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, সীমান্ত সংলগ্ন ওইসব এলাকায় এক লাখের বেশি বাসিন্দা প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে বাস করছেন। আপাতত নিরাপদ দূরত্বে স্কুল ও কমিউনিটি সেন্টারে তাঁদের রাখা হবে।

Advertisement

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য খালেদা বেগম বলেন, “সোমবার থেকে স্থানীয় লোকজন কক্সবাজার ও ঘুমধুম এলাকায় যার যার আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। বাড়ি থেকে কেউ বাইরে বেরচ্ছেন না। দোকান-পাট বন্ধ। রাস্তায় আগের মতো লোকজন।” মান্তঘেঁষা গ্রাম তুমব্রু কোণারপাড়া, তুমব্রু মাঝেরপাড়া, ভাজাবনিয়া পাড়া, তুমব্রু বাজারপাড়া, চাকমা হেডম্যান পাড়া, তুমব্রু পশ্চিমকূল পাড়া, ঘুমধুম নয়াপড়া, ঘুমধুম পূর্বপাড়া ও ঘুমধুম মধ্যমপাড়ার বাসিন্দাদের মাইকিং করে সরে যেতে বলা হচ্ছে। মায়ানমার ইস্যুতে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী ও বিজিবিকে (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) ধৈর্য ধরতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ সীমান্তে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে মায়ানমার যোগাযোগ করেছে বলে জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী হাসান মাহমুদ।

[আরও পড়ুন: ১০০ দিনের কাজে ভুয়ো জবকার্ডের কথা স্বীকার রাজ্য সরকারের! শুভেন্দুর দাবিতে চাঞ্চল্য]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ