সুকুমার সরকার, ঢাকা: একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে খান সেনাদের জঘন্য রূপের কথা ভুলতে পারেন না বাংলাদেশবাসী। ১৯৭১-এর বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় রাজাকারদের কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তি দিয়েছে শেখ হাসিনা প্রশাসন। তবে এর জন্য পাকিস্তান কখনও অনুতাপ প্রকাশ করেনি। এবার বাংলাদেশের পাক হাইকমিশনারের সঙ্গে দেখা করে পাকিস্তানকে এর জন্য সরাসরি ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুললেন বিদেশমন্ত্রী হাসান মাহমুদ। বললেন, মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যাকারী পাকিস্তানকে ক্ষমা চাইতে হবে। রবিবার পাকিস্তানের হাই কমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছিলেন হাসান মাহমুদ। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার লক্ষ্যে দুজনের কথাবার্তা হয় বলে খবর। আর সেখানেই সরাসরি পাকিস্তানকে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী।
রবিবার ঢাকায় (Dhaka) হাসান মাহমুদ প্রথমবারের জন্য সৈয়দ আহমেদ মারুফের সঙ্গে দেখা করেন। উভয়ের সাক্ষাৎকালে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, কৃষি, জনসংযোগ সম্পর্ক দৃঢ় করা নিয়ে কথা হয়েছে বলে খবর। এ নিয়ে পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হাসান মাহমুদ (Hassan Mahmood) বলেন, ”১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই কথা হয়েছে। আমি নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথাও বলেছি।” জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও বিশ্বাসঘাতকতার জন্য এবার পাকিস্তানকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলেছে বাংলাদেশ (Bangladesh)।
আসলে বাংলাদেশের হাসিনা সরকার বরাবর ভারত-বন্ধু। যা পাকিস্তান (Pakistan) ও চিনের না-পসন্দ। প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্বে বারবার ফাটল ধরাতে চায় তারা। বাংলাদেশ নিজেই স্বীকার করেছে যে ভারত পাশে ছিল বলে সুষ্ঠু, অবাধ ভোট হতে পেরেছে সেখানে। ফলে নয়াদিল্লির (New Delhi) সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার চাপ রয়েছে ঢাকার। সবমিলিয়ে দিল্লিকেও বার্তা দিয়ে পাকিস্তানের কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি করল ঢাকা, এমনই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.