সুকুমার সরকার, ঢাকা: ভারত থেকে আর পেঁয়াজ আমদানি করবে না বাংলাদেশ।পরিবর্তে দেশের কৃষকদের বেশি সুযোগ সুবিধা দিয়ে পেঁয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধি করার দিকে নজর দেওয়া হবে। এমনটাই জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি।
রংপুরের সেন্ট্রাল রোডের বাসভবনে সাংবাদিকদের বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, গত বছর আগাম খবর না দিয়ে আচমকা পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছিল ভারত। যার ফলে বাংলাদেশের বাজের পেঁয়াজের জন্য কার্যত হাহাকার শুরু হয়েছিল। তাই এবার পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বনির্ভর হতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। এছাড়াও, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি মেটানোর জন্য সে দেশে বিভিন্ন সামগ্রী রপ্তানি আরও বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আসন্ন রমজান মাসে সয়াবিন তেল আর চিনির কোনো সংকট হবে না বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি, সয়াবিন তেল বর্তমানে যত আমদানি করা হচ্ছে তার তিন গুণ আমদানির সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চিনি বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে না, দেশে উৎপাদিত সরকারি-বেসরকারি চিনি দিয়ে চাহিদা পূরণ করা যাবে।
উল্লেখ্য, ভারত থেকে আসা পেঁয়াজের অভাব পূরণ করতে আর দাম মধ্যবিত্তের নাগালে রাখতে মায়ানমার, ইজিপ্ট, তুরস্ক, চিনের মুখাপেক্ষী হয়েছে ঢাকা। বাংলাদেশের মতোই পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়ার মতো পেঁয়াজের প্রয়োজনে অন্য এশীয় দেশগুলিও ইজিপ্ট, তুরস্ক, চিনের শরণাপন্ন হয়েছে। তবে এই দেশগুলি থেকে আসা সরবরাহ, কোনও ভাবেই ভারতের অভাব পূরণ করতে পারছে না। গত অর্থবর্ষে ২২ লক্ষ টন পেঁয়াজ রপ্তানি করেছিল ভারত। কিন্তু, এবার দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম ৪৫০০ টাকা প্রতি একশো কেজি পেরোতেই রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত।তারপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে নয়াদিল্লি ও ঢাকার মধ্যে টানাপোড়েন চলছিল।এবার, আর পেঁয়াজ আমদানি না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ভারতকে কড়া বার্তা দিল বাংলাদেশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.