Advertisement
Advertisement
Sheikh Mohammad Abdullah

করোনায় প্রয়াত বাংলাদেশের ধর্মীয় বিষয়ক মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এই মুক্তিযোদ্ধার প্রয়াণে শোকস্তব্ধ শেখ হাসিনা।

Bangladesh minister Sheikh Mohammad Abdullah dies at military hospital
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:June 14, 2020 3:10 pm
  • Updated:June 15, 2020 4:00 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন শেখ হাসিনা সরকারের ধর্মীয় বিষয়ক মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধা আইনজীবী শেখ মহম্মদ আবদুল্লাহ। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় শনিবার রাত ১০টায় সিএমএইচের আইসিউতে ভরতি করা হয় তাঁকে। কিছুক্ষণ বাদে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শনিবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে ৭৫ বছর বয়সে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (CMH) ‍মৃত্যু হয় আবদুল্লার। এই খবর পাওয়া পরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর শোকবার্তায় জানান, ‘শেখ মহম্মদ আবদুল্লাহের মৃত্যুতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। এর ফলে আওয়ামি লিগ হারিয়ে ফেলল তৃণমূলস্তর থেকে উঠে আসা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দীক্ষিত একজন সৈনিককে। তিনি আমৃত্যু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে ধারণ করে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, গণতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। তিনি করোনা আক্রান্ত ছিলেন কিনা তা জানার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে পরীক্ষার ফলাফল আসলেই তাঁকে সমাহিত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

Advertisement

[আরও পড়ুন: করোনার গ্রাসে বর্ষীয়ান আওয়ামি লিগ নেতা, প্রয়াত মহম্মদ নাসিম]

১৯৪৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জ জেলার মধুমতী নদীর পাশে অবস্থিত কেকানিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন শেখ আবদুল্লাহ। এরপর ১৯৬১ সালে মেট্রিক, ১৯৬৩ সালে উচ্চ মাধ্যমিক এবং ১৯৬৬ সালে বি কম (অনার্স) ডিগ্রি লাভ করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭২ সালে এম কম এবং ১৯৭৪ সালে অর্থনীতিতে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭৭ সালে ঢাকা সেন্ট্রাল ‘ল’ কলেজ থেকে এলএলবি ডিগ্রিও অর্জন করেন শেখ আবদুল্লাহ। শিক্ষা জীবন শেষে সুলতানশাহী কেকানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে আইনজীবী হিসেবে গোপালগঞ্জ জজ কোর্ট ও ঢাকা জজ কোর্টে প্র্যাকটিস করেন। যুব লিগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মণির নেতৃত্বে তিনি আওয়ামী যুব লিগে যোগ দেন। গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামি লিগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামি যুব লিগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিরও দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৭১ সালে মুজিব বাহিনীতে যোগ দিয়ে হয়ে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। দীর্ঘদিন গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালে ৭ জানুয়ারি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর পদ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে।

Advertisement

[আরও পড়ুন:​ কয়েদখানায় করোনার থাবা, ৩৩ হাজার বিচারাধীন বন্দির জামিন মঞ্জুর বাংলাদেশে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ