Advertisement
Advertisement

১০০ দিন পর মুক্তি পেলেন ‘হাসিনা বিরোধী’ চিত্রগ্রাহক শহিদুল আলম

জামিন মঞ্জুর করল বাংলাদেশ হাই কোর্ট৷

Bangladeshi Photographer Shahidul Alam Released.
Published by: Tanujit Das
  • Posted:November 21, 2018 3:18 pm
  • Updated:November 21, 2018 3:21 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একশো দিনেরও বেশি সময় কারাবন্দি থাকার পর অবশেষে মুক্তি পেলেন আন্তর্জাতিক চিত্রপ্রাহক শহিদুল আলম। মঙ্গলবার তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে ঢাকা হাই কোর্ট। মঙ্গলবার রাতেই ঢাকা কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে ছাড়া পান তিনি৷ কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে সকলকে ধন্যবাদ জানান ৬৩ বছরের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই চিত্রগ্রাহক৷ প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানান, “স্বাধীন বাংলাদেশের স্বাধীন নাগরিকরা মুক্ত থাকবে, এটাই কাম্য। কিন্তু নাগরিকরা যদি তাঁদের মুক্ত চিন্তাভাবনা জানাতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হন, তবে তা পরাধীনতার সমান।”

[শরিকদের জন্য ৭০টি আসন ছাড়ার সিদ্ধান্ত আওয়ামি লিগের]

Advertisement

তবে এই জামিনের কাগজপত্র নিয়ে গতকাল দীর্ঘ টানাপোড়েন চলে৷ জানা গিয়েছে, শহিদুল আলমের জামিনের কাগজপত্রে ঠিকানা নিয়ে জটিলতা ছিল। যা সংশোধনের জন্য আদালতে পাঠানো হয়। পরে সেই সংশোধিত কাগজপত্র আবারও ঢাকা সংশোধনাগারে পৌঁছালে সমস্ত বিষয়ে যাচাই করে এই আন্তর্জাতিক চিত্রগ্রাহককে মুক্তি দেওয়া হয়৷ গত আগস্ট মাসে ঢাকার ধানমুন্ডির বাড়ি থেকে শহিদুল আলমকে আটক করে বাংলাদেশ পুলিশের গোয়েন্দা শাখা৷ তাঁকে তথ্য-প্রযুক্তি আইনে গ্রেপ্তার করা হয়৷ শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে ঢাকায় তৎকালীন সময়ে চলমান পড়ুয়াদের আন্দোলনে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়৷ সোশ্যাল মিডিয়া এবং সর্বোপরি ফেসবুকের মাধ্যমে পড়ুয়াদের সরকার বিরোধী কাজে উদ্বুদ্ধ করছিলেন তিনি৷

Advertisement

[নির্বাচনে খালেদাপুত্র তারেকের অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন তুলল আওয়ামি লিগ]

উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসে বেপরোয়া বাসের তলায় চাপা পড়ে মৃত্যু হয় দুই কলেজ পড়ুয়ার৷ এই মৃত্যুর প্রতিবাদে ঢাকায় পথে নামে বাংলাদেশি পড়ুয়ারা। তাঁরা নিজেরাই ট্রাফিক সামলাতে শুরু করেন৷ ঢাকা থেকে শুরু করে আন্দোলন ছড়ায় বিভিন্ন জেলাতে। এরপর, বেপরোয়া গাড়ি চালানোর প্রতিবাদে ও সঠিক ট্রাফিক আইনের দাবিতে গত আগস্ট মাস থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাংলাদেশ৷ পথে নামে ছাত্ররা৷দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় তাঁদের৷ ছাত্রদের আন্দোলনকে থামাতে কাঁদানে গ্যাস থেকে শুরু করে লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট, জল কামানের মতো সমস্ত রকমের হাতিয়ার ব্যবহার করে প্রশাসন৷। দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দিতে ট্রাফিক আইনে বদলের অনুমতি দেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ