ছবি: প্রতীকী
সুকুমার সরকার, ঢাকা: প্রতিবেশী বাবা-ছেলের ‘যৌন নির্যাতনে’র শিকার কিশোরী। নির্যাতিতা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় বিষয়টি জানাজানি হয়। তার পরই রবিবার রাতে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের দক্ষিণ জনপদ জেলার বরগুনা এলাকা। সোমবার অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হয়।
নির্যাতিতা কিশোরীর পরিবার সূত্রে খবর, অল্প বয়সেই বাবাকে হারিয়েছে ওই কিশোরী। মা সবজি বিক্রি করে সংসার চালান। তাই দিনভর বাড়িতে একাই থাকত কিশোরী। সেই সময় প্রতিবেশী নুরুল ইসলামের (৫০) ছোট মেয়ের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। সেই পরিচয়ের সুবাদে নুরুলের বাড়িতে আসা-যাওয়া করত ওই কিশোরী। অভিযোগ, সেই সুযোগে ভয় দেখিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করে নুরুল ইসলাম। এই ঘটনা সকলকে জানিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে কিশোরীর উপর বারবার যৌন নির্যাতন চালায় অভিযুক্ত নুরুলের ছেলে আরিফ হোসেন (২৩)। কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
নির্যাতিতার পরিবার জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করে। তিনি বরগুনা সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নিতে বলেন। রবিবার রাতে অভিযুক্ত নুরুল ও তার ছেলে আরিফকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিশোরীর মায়ের কথায়, “কাজের প্রয়োজনে আমাকে সারাক্ষণ বাইরে থাকতে হয়। তাই আমার মেয়ে প্রায় সময়ই নুরুল ইসলামের ছোট মেয়ের সঙ্গে তাদের বাড়িতে থাকত। মেয়েকে দিয়ে তারা কাজও করাত। কিন্তু তারা যে আমার মেয়ের এতো বড় সর্বনাশ করবে কখনও ভাবিনি। আমার মেয়ের এ অবস্থা যে করছে তার কঠিন বিচার চাই।”
নির্যাতিতা জানিয়েছে, “নুরুল ইসলামকে আমি মেসো ডাকতাম। তার মেয়ে আমার বান্ধবী ছিল। তিনি আমাকে ভয় দেখিয়ে এসব করছে। তিনি বারবার হুমকি দিতেন, তুই যদি এসব না করিস তাহলে তোদের এলাকা ছাড়া করব।” সে আরও জানিয়েছে, “পরে একদিন নুরুল ইসলামের ছেলে আরিফ বলে, তুই যা করছিস তা কিন্তু আমি জানি। এসব বলে সে আমাকে ধর্ষণ করে।”
এ বিষয়ে বরগুনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম তারিকুল ইসলাম জানান, অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাতেই থানায় ধরে আনা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গিয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পরে সেই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.