সুকুমার সরকার, ঢাকা: করোনার কোপে বাংলাদেশে ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছে জনসুমারি (Census) ও গৃহগণনার কাজ। আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে তা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত বাংলাদেশ পরিসংখ্যা ব্যুরো (BBS) জানিয়েছে, করোনার কারণে চিন, থাইল্যান্ড, বাহরিন, কাতার-সহ একাধিক দেশ পিছিয়েছে জনগণনার কাজ। ফলে বাংলাদেশেও তা পিছিয়ে দিতে হচ্ছে। সব ঠিক থাকলে আগামী বছরের নভেম্বরে কাজ শুরু হতে পারে। সূত্রের খবর, এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সরকারের সঙ্গে খুব দ্রুতই শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে বসছে বিবিএস।
২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছিলেন, একুশের ২ থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে চলবে জনসুমারি ও গৃহগণনার কাজ চলবে। কিন্তু এ বছরের মার্চ থেকে বিশ্বজুড়ে মহামারীর আকার ধারণ করা করোনা ভাইরাসের দাপটে সমস্ত পরিকল্পনা এলোমেলো হয়ে গিয়েছে। ফলে জানুয়ারির নির্ধারিত সময়ে কাজ বাতিল হয়ে যায়। বিবিএস সূত্রে খবর, গণনা শুরুর আগে কয়েকটি ধাপে যে তথ্য সংগ্রহ এবং সমীক্ষার কাজ থাকে, করোনার কারণে তা শুরুই করা যায়নি। তাই জানুয়ারিতে গণনা শুরু সম্ভব নয়। আপাতত ২০২১এর ৪ থেকে ১০ নভেম্বর বাংলাদেশে এই সমীক্ষা চালানোর লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। সরকারের সঙ্গে বৈঠকে এ নিয়ে চূড়ান্ত দিনক্ষণ স্থির করা হবে।
জানা গিয়েছে, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পর একবার জনসুমারি হয়নি বাংলাদেশে। তারপর নির্দিষ্ট সময়ে মেনে প্রত্যেকবার গণনা হয়েছে। শেষ ২০১১এ জনগণনা অনুযায়ী, দেশের মোট জনসংখ্যা ছিল ১৫ কোটি ২৫ লক্ষ। এরপর একুশের নির্ধারিত সময়ে জনগণনার কাজ না হলে বেশ কয়েকটি সমস্যার মুখে পড়তে হবে বলে মত বিবিএসের। জনতার মাথা পিছু আয়, দারিদ্র্য সূচক, বিদেশি বসবাসকারীর সংখ্যা – এসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা যায় জনসুমারির মাধ্যমেই। তাই কোনও জনকল্যাণমূলক পরিকল্পনা গ্রহণের আগে জনসংখ্যার বিস্তারিত তথ্য হাতে পাওয়া যে কোনও দেশের সরকারের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ষষ্ঠ জনসুমারি না হলে সামাজিক প্রকল্পগুলি বড়সড় ধাক্কা খাবে বলে আশঙ্কা বিবিএসের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.