প্রতীকী ছবি
সুকুমার সরকার, ঢাকা: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমশই বাড়ছে বাংলাদেশে। সরকারের তরফে চিহ্নিত পাঁচটি ক্লাস্টারের (একটি জায়গায় কম দূরত্বের মধ্যে অনেক রোগী) দুটি রাজধানী ঢাকাতেই রয়েছে। কিন্তু, ওই দুটি এলাকাতেই আর সংক্রমণ সীমিত নেই। এখন প্রায় পুরো রাজধানীতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। গতকাল বুধবার পর্যন্ত ঢাকার মোট ৪৬টি এলাকায় সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে। ফলে দেশে চিহ্নিত মোট রোগীর ৫৬ শতাংশই এখনও রাজধানীর বাসিন্দা।
ঢাকা মহানগরীর বাইরে ঢাকা জেলা-সহ ২২টি জেলাতেই করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। বাংলাদেশে এখনও পর্যন্ত ৩৩০ ব্যক্তি শরীরে এই মারণ ভাইরাসের জীবাণু রয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১২৩ জন ঢাকা মহানগরীর বাসিন্দা। বাংলাদেশের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (IEDCR) দেওয়া তথ্যে এই চিত্র পাওয়া গেছে। সংক্রমণ ঠেকাতে রাজধানীর যেসব জায়গায় রোগী শনাক্ত হচ্ছে, সেখানে সীমিত পরিসরে বাড়ি বা গলিগুলোতে লকডাউন করা হচ্ছে। গতকাল রাত পর্যন্ত ঢাকার অন্তত ৫৪টি জায়গায় এই ধরনের লকডাউন করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
গতকাল রাত পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ, পিরোজপুর, সাতক্ষীরা, কক্সবাজার, নরসিংদী ও টাঙ্গাইল এই ছটি জেলা পুরো লকডাউন করা হয়েছে। এছাড়া যেসব এলাকায় নতুন আক্রান্ত পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে লকডাউন করছে প্রশাসন। কোথাও কোথাও এলাকাবাসী নিজেদের উদ্যোগে লকডাউন করছেন। তবে সব জায়গায় লকডাউন পুরোপুরি কার্যকর করা যাচ্ছে না বলেও খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেখানে অলিগলিতে মানুষ যথেচ্ছভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। শুধু পুলিশ বা সেনা জওয়ানদের দেখলেই লুকিয়ে পড়ছে।
বৃহস্পতিবার IEDCR-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১১২ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এটাই এখনও পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা। বুধবার সারা দেশে করোনা ভাইরাসে ৫৪ জন আক্রান্ত হয়েছিল। তার আগে মঙ্গলবার ৪১ জনের দেহে করোনার উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছিল। গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। তারপর থেকে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। মানুষকে ঘরে রাখতে রাজপথের পাশাপাশি পাড়া-মহল্লাতেও টহল দিচ্ছে সশস্ত্র বাহিনী, RAB ও পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.