ছবি: প্রতীকী
সুকুমার সরকার, ঢাকা: আপনজনেরা তন্ন তন্ন করেও খুঁজেও নিখোঁজ গৃহবধূকে পাননি। অথচ বনের মধ্যে কাকের ডাকাডাকি শুনে এগিয়ে যান তাঁর মা। একটি ঝোপে উঁকি দিতেই চোখে পড়ে মাটি খুঁড়ে পুঁতে রাখা দেহের দিকে। শিয়াল টেনে বের করে রাখা হাত-পা দেখে কার্যত আঁতকে ওঠেন তিনি। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের শেরপুরের নালিতাবাড়ি উপজেলার বিশগিরিপাড়ার জঙ্গলের এই ঘটনায় গায়ে কাঁটা দিচ্ছে প্রায় সকলের।
কাকরকান্দি ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ ও পূর্ব মানিককুড়া গ্রামের বাসিন্দা আমির আলির স্ত্রী নাছিমা বেগম। তাঁর চারটি সন্তান রয়েছে। আমির আলি জানান, মানসিক সমস্যা থাকায় প্রায়ই বাড়ি থেকে বেরিয়ে আশপাশে যেতেন নাছিমা। গত ২০ আগস্ট সন্ধেয় বাড়ি থেকে বেরন তিনি। নিখোঁজ হয়ে যান। রাতে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। তবে আত্মীয়দের বাড়িতে কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। নালিতাবাড়ী থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের শেরপুরের নালিতাবাড়ি উপজেলার বিশগিরিপাড়ার জঙ্গলে মেয়েকে খুঁজতে ঢোকেন নাছিমার মা। কাকের ডাকাডাকি শুনে আরও গভীর জঙ্গলে ঢোকেন তিনি। সেখানেই মাটি খুঁড়ে পুঁতে রাখা দেহ দেখতে পান তিনি। দেখেন শিয়াল ওই দেহ টেনে বের করে আনার চেষ্টা করছে।
নাছিমার বাবা নাদির আলি বলেন, “আমির আলির প্রথম এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর একটি করে সন্তান ছিল। তবে দুই স্ত্রী মৃত। তৃতীয় স্ত্রী এক সন্তান নিয়ে ঢাকায় থাকেন। নাছিমা আমির আলির চতুর্থ স্ত্রী। বিয়ের পর থেকে তারা সুখেই ছিলেন। কে বা কারা নাছিমা খুন করল বুঝতে পারছি না।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম খোকা ও নিয়ামুল কাউসার জানান, বনের ভিতরে একাধিক জায়গায় জুয়া এবং গাঁজার আসর বসে। ওই আসরে অপরাধীদের আনাগোনা রয়েছে। তাদের কেউ নাছিমাকে খুন করতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। নালিতাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, “হত্যার কারণ এখনও জানা যায়নি। অপরাধীকেও চিহ্নিত করা যায়নি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.