Advertisement
Advertisement
বাংলাদেশে মৃত্যুদণ্ড

আওয়ামি লিগের প্রাক্তন সাংসদকে খুনের দায়ে বাংলাদেশে ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড

মূল চক্রান্তকারী কাদের খানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Ex Bangladeshi MP Liton murder: 7 awarded death sentence

কাদের খানকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে (ইনসেটে লিটন)।

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:November 28, 2019 2:19 pm
  • Updated:November 28, 2019 2:19 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: সাত জঙ্গির মৃত্যুদণ্ডের একদিন বাদেই আওয়ামি লিগের প্রাক্তন এমপি ও বহুচর্চিত মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলার রায় দিল আদালত। প্রয়াত লিটন বাংলাদেশের উত্তরপ্রান্তে অবস্থিত গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ)-এর সাংসদ ছিলেন। বৃহস্পতিবার গাইবান্ধার জেলা ও দায়রা জজ দিলীপ কুমার ভৌমিক দোষীদের প্রাণদণ্ডের নির্দেশ দেন। তবে চক্রান্তকারী ও প্রাক্তন সাংসদ কাদের খানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর কাদের খানের ব্যক্তিগত সচিব শামছুজ্জোহা, গাড়িচালক হান্নান, ভাইপো মেহেদি, শাহীন ও রানা, চন্দন কুমার রায় ও সুবল। চন্দন পলাতক তবে বাকিরা জেলে আছে। আর কসাই সুবল অসুস্থ অবস্থায় জেলেই মারা গিয়েছে।

[আরও পড়ুন: গুলশন হামলার পর বাংলাদেশে হ্রাস পেয়েছে জঙ্গি হানা, বলছে পরিসংখ্যান]

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধেয় সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙার মাস্টারপাড়ার বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন তৎকালীন এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। এই ঘটনায় ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচ-ছজনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করেন লিটনের বড় বোন ফাহমিদা কাকলী বুলবুল। দীর্ঘ তদন্তের ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রাক্তন এমপি কর্নেল(অবসরপ্রাপ্ত) আবদুল কাদের খান-সহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ।

Advertisement

২০১৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বগুড়ার বাসা থেকে কাদের খানকে গ্রেপ্তারও করে। ২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় ৩১ অক্টোবর। আদালতে মামলার বাদী, নিহতের স্ত্রী ও তদন্ত আধিকারিকদের ৫৯ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। গত ১৯ নভেম্বর বিকেলে মামলার সাক্ষী ও আসামিদের উপস্থিতিতে উভয়পক্ষের আইনজীবীদের সওয়াল শেষে ২৮ নভেম্বর রায়ের দিন ধার্য করেন বিচারক। আর পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার এই মামলায় দোষীসাব্যস্তদের প্রাণদণ্ডের নির্দেশ দিলেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: হোলি আর্টিজান মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গির মাথায় আইএস টুপি, তুঙ্গে বিতর্ক]

পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১৬ সালের ২ ডিসেম্বর সুন্দরগঞ্জে একটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ছিনতাইকারীদের ফেলে যাওয়া ম্যাগাজিনের গুলির সঙ্গে লিটনের শরীরে পাওয়া গুলির মিল পাওয়া যায়। সেই সূত্র ধরে তিন ছিনতাইকারী মেহেদি, শাহীন ও হান্নানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জেরায় ধৃতরা কাদের খানের নির্দেশে লিটন হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়ার কথা স্বীকার করে। এরপরেই তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কাদের খানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ