Advertisement
Advertisement
Bangladesh

করোনা আবহে প্রকৃতির রোষের মুখে বাংলাদেশ, বন্যায় মৃত অন্তত ২৫০

নষ্ট হয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি।

Flood situation worsens in Bangladesh. 250 killed so far
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:August 29, 2020 3:26 pm
  • Updated:August 29, 2020 3:26 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: করোনা আবহে ফের প্রকৃতির রোষের মুখে বাংলাদেশ। প্রবল বর্ষণের জেরে সৃষ্টি হয়ে বন্যায় এপর্যন্ত দেশে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২৫০ জনের। নষ্ট হয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি।

[আরও পড়ুন: করোনা আবহে ঢাকার পাশে নয়াদিল্লি, ভারতের সাহায্যে ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশ]

জানা গিয়েছে, বন্যা কবলিত ৩৩ জেলায় ডায়রিয়া, চর্মরোগ, শ্বাসনালীর প্রদাহ-সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭ হাজার ৩০১ জন। এর মধ্যে ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যাই অর্ধেক। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ন্যাশনাল হেলথ ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টারের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বন্যাজনিত মৃত্যু’ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে। ৩০ জুন থেকে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত গত দুই মাসের তথ্য প্রকাশ করা হয়। তাতে দেখা যায়, বন্যা কবলিত এলাকায় ২৫১ জনের মধ্যে জলে ডুবে ২১০ জনের, বজ্রপাতে ১৩ জনের, সাপের দংশনে ২৫ জনের, ডায়রিয়ায় ১ জনের এবং বিভিন্ন আঘাতজনিত কারণে ২ জনের মৃত্যু নথিভুক্ত করা হয়েছে।

Advertisement

তবে সরকারের ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এবার বন্যায় মৃতের সংখ্যা ৪২ জন। এর মধ্যে দুজনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। বাকিরা সবাই শিশু এবং তাদের মধ্যে একজন প্রতিবন্ধী। মৃতের সংখ্যায় এই তারতম্যের বিষয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আতিকুল হক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “সংখ্যা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি রয়েছে। বন্যার জলে মৃত্যুর বিষয়ে আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা যে তথ্য পাঠাচ্ছেন এটাই সঠিক। এখানে বন্যার জলে ডুবে বা ভেসে গিয়ে মৃত্যু হলে তাদের নাম-ঠিকানাসহ পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাঠাতে হয়। বন্যা আক্রান্ত এলাকার বাইরে বা ভ্রমণে গিয়ে নৌকা ডুবি বা অন্যভাবে দুর্ঘটনার তথ্য এখানে যুক্ত করা হয় না।” এদিকে সরকার জানিয়েছে এবারের চার দফার বন্যায় সারা দেশে ৫ হাজার ৯৭২ কোটি ৭৪ লক্ষ ৬২ হাজার ৭৬ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির এই পরিমাণ ১৯৯৮ সালের বন্যার চেয়ে কম। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৪৩ লক্ষ ১৪ হাজার ৭৯৩ জন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ১৩ লক্ষ ৪৩ হাজার ১২১টি। ক্ষতিগ্রস্ত ঘর ৭ লক্ষ ৩৭ হাজার ৮২২টি। ক্ষতিগ্রস্ত বীজতলার পরিমাণ ২ লক্ষ ১১ হাজার ৬২৭ হেক্টর। ক্ষতিগ্রস্ত হ্যাচারি ৮ হাজার ৫২১ হেক্টর। ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ লাইন ৪৬৩ কিলোমিটার। ক্ষতিগ্রস্ত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ৩ হাজার ৩০৬টি। ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ ৫০৫ কিলোমিটার (সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত ৩৭ কিলোমিটার)। ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৮৩ হাজার ৪৫৭টি ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: করোনা আবহে ঢাকার পাশে নয়াদিল্লি, ভারতের সাহায্যে ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ