Advertisement
Advertisement

Breaking News

রোহিঙ্গা

রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিক মায়ানমার, নির্দেশ রাষ্ট্রসংঘের

রোহিঙ্গাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিয়ে চিনের সঙ্গে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা।

Grant citizenship to Rohingyas, UN directs Myanmar
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:July 2, 2019 5:42 pm
  • Updated:August 21, 2020 3:36 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: রাষ্ট্রহীন করে রাখা রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিতে হবে বলে মায়ানমারকে জানিয়েছেন রাষ্ট্রসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের তদন্ত কর্মকর্তা রাধিকা কুমারাস্বামী। একই সঙ্গে মায়ানমারের নেত্রী অং সান সুকিকে গণতান্ত্রিক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

রাখাইনে ২০১৭ সালের আগস্টে এক ডজন সেনা ও পুলিশ চৌকিতে দেশটির রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা হামলা চালালে কিছু হতাহত হয়। এরপরই সেনাবাহিনী সেখানকার রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে। মায়ানমার থেকে সাত লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশের কক্সবাজারে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেয়। এর বছর চারেক আগে বাংলাদেশে আরও চার লক্ষ রোহিঙ্গা এসে আশ্রয় নিয়েছে। মানবিকতার খাতিরে এই এগারো লক্ষ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ হিমশিম খাচ্ছে। মায়ানমার এই রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে গড়িমসি করছে। কিন্তু কথা হচ্ছে বাংলাদেশ আর কতদিন এই রোহিঙ্গাদের বোঝা বইবে?

Advertisement

সোমবার রাতে চিন সফরে গিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামি লিগ সভাপতি শেখ হাসিনা। চিনের সঙ্গে তিনি বেশ কিছু চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন। তবে তাঁর বিষয় থাকবে রোহিঙ্গাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে মায়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ। কেননা চিনের সঙ্গে মায়ানমারের সুসম্পর্ক সর্বজনবিদিত।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান, ঢাকা-বেনাপোল রুটে চালু হচ্ছে ননস্টপ ট্রেন ]

অবশ্য আন্তর্জাতিক সংস্থা বসে নেই। তারাও বাংলাদেশের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতার তদন্ত করেছে রাষ্ট্রসংঘ। রাষ্ট্রসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন ওই তদন্ত শেষে জানায়, সেখানে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানো হয়েছে। ওই মিশনের অন্যতম সদস্য রাধিকা। অতিসম্প্রতি দ্য হেগে রাষ্ট্রহীন বিষয়ক এক বৈশ্বিক সম্মেলনে রাধিকা বলেন, রাষ্ট্রহীন রোহিঙ্গাদের শিকড় রয়েছে মায়ানমারে। তাদের অবশ্যই নাগরিকত্ব দিতে হবে মায়ানমারকে।

প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মায়ানমারে বসবাস করলেও বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মায়ানমার মুসলিম রোহিঙ্গাদেরকে নাগরিক হিসেবে স্বীকার করে না। কুমারাস্বামী বলেছেন, “কেরিয়ারে বিভিন্ন স্থানে বহু নৃশংসতা দেখেছি আমি। কিন্তু রোহিঙ্গা মহিলাদের ধর্ষণ ও তাদেরকে জোর করে উৎখাতের ঘটনা আমার অন্তরাত্মাকে নাড়িয়ে দিয়েছে। রাষ্ট্রহীনতাই হল ভয়াবহ রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণ।” ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন রোহিঙ্গা গণহত্যার জন্য মায়ানমারের শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের বিচার করার আহ্বান জানিয়েছে। অবশ্য রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করেছে মায়ানমার।

[ আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সমস্যা মেটাতে রাখাইনকে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত করার প্রস্তাব মার্কিন কংগ্রেসে ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ