Advertisement
Advertisement

বাংলাদেশের খাগড়াছড়িতে দুই আদিবাসী গোষ্ঠীর গুলিযুদ্ধে হত ৬

পাহাড়ে সংঘাতে ৫ মাসে ঝরেছে ১৮ প্রাণ।

Gunfight between 2 groups claims 6 in Bangladesh
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:August 19, 2018 2:09 pm
  • Updated:August 19, 2018 2:09 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশের পাহাড়ি এলাকায় ফের অশান্তির কালো মেঘ। রাজধানী ঢাকা থেকে সাড়ে চারশো কিলোমিটার দূরের দুর্গম পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি শহরের অদূরে স্বনির্ভর এলাকায় দুই গোষ্ঠীর গুলিযুদ্ধে ছয়জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও তিনজন। আজ শনিবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে পৌনে ন’টার মধ্যে এ কাণ্ড ঘটে। এদিন সকালে গ্রামবাসীদের নিয়ে একটি সমাবেশ ও বিক্ষোভ করার কথা ছিল ইউপিডিএফের। তার আগেই এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্র জানায়, আকস্মিকভাবে অস্ত্রধারীরা গুলিবর্ষণ করলে ঘটনাস্থলেই ছয়জন নিহত ও তিনজন আহত হন। তারা সবাই ইউপিডিএফ সমর্থক নেতা ও কর্মী। স্বনির্ভর বাজারে অবস্থিত পুলিশ বক্সেও গুলি লাগে। ইউপিডিএফের জেলা সমন্বয়কারী মাইকেল চাকমা ঘটনার জন্য সংস্কারপন্থী জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করেছেন। অবশ্য জনসংহতি সমিতি অভিযোগ অস্বীকার করেছে। নিহতদের মধ্যে তপন চাকমা, এলটন চাকমা, জিতায়ন চাকমার নাম পাওয়া গিয়েছে। এদের মধ্যে তপন চাকমা ইউপিডিএফ সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং জিতায়ন চাকমা মহালছড়ি উপজেলা সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক। আহতরা হলেন, সমর বিকাশ চাকমা (৪৮, সুকিরন চাকমা (৩৫) ও সোহেল চাকমা (২২)।

[গুজব ছড়ানোর দায়ে বাংলাদেশে গ্রেপ্তার শতাধিক পড়ুয়া]

Advertisement

পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।আহতদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন সংসদ সদস্য কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরা, জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আলি আহমেদ খান। পাহাড়ে সংঘাতে ৫ মাসে ঝরেছে ১৮ প্রাণ। পার্বত্য শান্তিচুক্তি বিরোধী প্রসিত বিকাশ খিসা নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফের প্রভাব বেশি খাগড়াছড়িতে। ভাঙনের পর দুটি দলের মধ্যে সংঘাত লেগে আছে। এবছরের ৩ জানুয়ারি খাগড়াছড়িতে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় ইউপিডিএফের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা মিঠুন চাকমাকে। এই হত্যার জন্য ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিককে দায়ী করেছিল ইউপিডিএফ। এরপর ১৭ ফেব্রুয়ারি খাগড়াছড়ি শহরের হরিনাথপাড়া এলাকায় ইউপিডিএফকর্মী দিলীপ কুমার চাকমাকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়। তার চারদিন পর খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় সুভাষ চাকমা নামের ইউপিডিএফকর্মী খুন হন।

Advertisement

[বাংলাদেশের মহান বন্ধু ছিলেন বাজপেয়ী, শোকবার্তা হাসিনার]

গত ১৬ এপ্রিল খাগড়াছড়ি শহরের পেরাছড়া এলাকায় সন্ত্রাসী হামলায় সূর্য বিকাশ চাকমা নামে একজন নিহত হন। তিনিও ইউপিডিএফের দুই অংশের বিরোধের কারণে মারা যান। এরপর গত ৪ মে খাগড়াছড়ি থেকে রাঙামাটি যাওয়ার পথে খুন হন ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের অন্যতম শীর্ষ নেতা তপন জ্যোতি চাকমা বর্মা-সহ পাঁচজন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ