Advertisement
Advertisement
Hilsa

আকাল ‘রুপোলি শস্যে’র, বাংলাদেশে আড়াই কেজির ইলিশ বিক্রি হল ১৪ হাজার টাকায়!

তীব্র গরম পান্তা ভাতের সঙ্গে ভাজা ইলিশের স্বাদ থেকে অনেকেই বঞ্চিত হয়েছেন।

Hilsa is sold for 14 thousand in Bangladesh
Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:April 25, 2025 9:31 pm
  • Updated:April 25, 2025 9:31 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি বছর বাংলাদেশে ইলিশের সেরকম সুখবর ছিল না। ‘রুপোলি শস্যে’ হাত দিতেই পকেট পুড়েছে আম জনতার। তীব্র গরম পান্তা ভাতের সঙ্গে ভাজা ইলিশের স্বাদ থেকে অনেকেই বঞ্চিত হয়েছেন। কখনও এই দাম পেরিয়ে কেজি প্রতি ৫ কিংবা ৮ হাজার। এবার এক লাফে আড়াই কেজির একটি ইলিশ বিক্রি হল পৌনে ১৪ হাজার টাকায়। ইলিশের আকাল ও দামের কারণে বিক্রি না হওয়ায় পদ্মা-মেঘনা-যমুনা-ধলেশ্বরী-বলেশ্বরের মতো দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মৎস্যজীবী পরিবারগুলো দুঃখ-কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। কিন্তু পৌনে ১৪ হাজার দাম পেয়ে খুশির হাওয়া বইছে বরগুনা জেলার পাথরঘাটার মৎস্যজীবী পরিবারে। 

জানা গিয়েছে, পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ২ কেজি ৪৪০ গ্রাম ওজনের একটি ইলিশ ১৩ হাজার ৭৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে নদী ও সাগরে মাছ ধরায় ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে শুক্রবার ভোরে বলেশ্বর নদের মোহনায় এক মৎস্যজীবীর জালে ওই ইলিশটি ধরা পড়ে। পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের আড়তদার মোস্তফা আলমের মালিকানাধীন ফিশিং অ্যান্ড মার্চেন্ট আড়তে সকালে মাছটি বিক্রি করতে নিয়ে আসেন তিনি। সেই সময় উন্মুক্ত মাছটি কিনে নেন পাইকারি ব্যবসায়ী হানিফ মিয়া। এরপর ওই মাছটি বিক্রির জন্য ঢাকায় পাঠানো হবে। নদীতে এখন ইলিশের ব্যাপক আকাল। এ অবস্থায় এ রকম একটি ইলিশ পাওয়ায় পরিবার খুবই খুশি।

Advertisement

বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের সূত্র বলছে, ২০১৪ সালে ইলিশ ধরা হয়েছিল ৩ লক্ষ ৮৫ হাজার টন। ২০১৬ সালে সেই পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৩ লক্ষ ৮৭ হাজার টনে। পরের তিন বছরে তা বেড়ে হয় ৪ লক্ষ ৯৬ হাজার মেট্রিক টনে। ২০১৭-১৮ সালে ইলিশ আহরণ ৫ লক্ষ ১৭ হাজার থেকে ক্রমশ বেড়ে ২০২১-২২ সালে এসে ৫ লক্ষ ৬৬ হাজার টন হয়। কিন্তু এখন ইলিশের আকাল দেখা গিয়েছে। যে কারণে দাম আকাশছোঁয়া।

ইলিশ আহরণ কমার কারণ হিসাবে চাঁদপুরের মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের আধিকারিক মহম্মদ আবু কাওসার দিদার বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে গত বছর মৎস্যজীবীরা অন্য সময়ের মতো নদী ও সাগরে যেতে পারেননি। ইলিশের প্রধান তিনটি মাইগ্রেশন পয়েন্ট মেঘনা-তেঁতুলিয়া, পায়রা-বিষখালী ও সুন্দরবন অঞ্চলে নাব্যতার সংকট প্রকট। ফলে ইলিশের চলাচলে বাঁধাগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া ইলিশ আহরণের একটি সীমা আছে, কিন্তু বাংলাদেশ সেই সীমা অতিক্রম করে ফেলেছে। যার ফলস্বরূপ ইলিশের উৎপাদন কমে যাচ্ছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement