Advertisement
Advertisement
Bangladesh-Myanmar Border

বাংলাদেশে ফের অনুপ্রবেশের চেষ্টা, মায়ানমার সীমান্তে অপেক্ষায় শয়ে শয়ে রোহিঙ্গা

মায়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংঘাত চলছেই।

Hundreds of Rohingya are waiting at Myanmar border to seek asylum in Bangladesh | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:February 11, 2024 9:27 pm
  • Updated:February 11, 2024 9:29 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশ (Bangladesh) সীমান্ত সংলগ্ন মায়ানমারে সরকারি সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী দল আরাকান আর্মির মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছেই। মর্টারশেল নিক্ষেপ, গুলিযুদ্ধ ও বোমাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। জীবনহানির শঙ্কায় মায়ানমারের শীলখালি ও বলিবাজার রোহিঙ্গা (Rohingya) জনগোষ্ঠীর বাসিন্দারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের লক্ষ্যে সীমান্তে জমায়েত হয়েছেন তাঁরা। টেকনাফের নাফ নদ দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে বলে খবর। কিন্তু বাংলাদেশ নতুন করে আর কোনও নাগরিককে দেশে ঠাঁই দেবে না বলে জানা গিয়েছে। এমনিতেই সাড়ে ১২ লক্ষ রোহিঙ্গাকে ঠাঁই দিয়ে ঢাকা হিমশিম খাচ্ছে। এই রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি)দুই রোহিঙ্গা নারীকে সীমান্তে আটক করে স্বদেশে ফেরত পাঠিয়েছে। এ নিয়ে দু দিনে মোট চার রোহিঙ্গা নাগরিককে মায়ানমারে (Myanmar) ফেরত পাঠানো হয়।

এছাড়া কক্সবাজারের (Cox’s bazar) উখিয়ার পালংখালি সীমান্ত দিয়ে মায়ানমার থেকে অস্ত্র নিয়ে অনুপ্রবেশ করা ২৩ রোহিঙ্গাকে উখিয়া থানা পুলিশের কাছে পেশ করা হয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বিজিবির পক্ষ থেকে উখিয়া থানায় আটকদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। পালংখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর চৌধুরী বলেন, ”রহমতের বিল দিয়ে কিছু লোক ভিন্ন পোশাকে অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশ অনুপ্রবেশ করে। তাঁদের পরিচয় জানতে চাইলে স্থানীয়দের উপর বোমা হামলা করে। এ সময় কয়েকজন লোক আহত হয়। পরে তাদের ধাওয়া করে ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: পুরনোতেই আস্থা, রাজ্যসভায় বিজেপি প্রার্থী শমীক ভট্টাচার্য]

এদিকে মায়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে চলতি সংঘাত থেকে প্রাণে বাঁচতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া সেখানকার সেনাবাহিনী, সীমান্তরক্ষী বাহিনী-সহ (বিজিপি) বিভিন্ন সংস্থার ৩৩০ জন সদস্যকে দেশে ফেরাতে মায়ানমার নৌবাহিনীর একটি জাহাজ বাংলাদেশে এসেছে। সব প্রক্রিয়া শেষে যত দ্রুত সম্ভব জাহাজটি তাদের নিয়ে ফিরে যাবে।

Advertisement
বাংলাদেশের আশ্রয় নিতে চায় মায়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী। নিজস্ব ছবি।

কূটনৈতিক সূত্র আরও জানায়, ৩৩০ সীমান্ত রক্ষীকে ওই জাহাজে তোলা, জাহাজের তেল নেওয়া, খাবার নেওয়া-সহ আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করে মায়ানমারের উদ্দেশে রওনা দেবে। বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের আশায় মায়ানমারের শত শত রোহিঙ্গা টেকনাফ ও উখিয়া সংলগ্ন নাফ নদীতে নৌকা নিয়ে ভাসছেন। দিনের বেলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও কোস্টগার্ড বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে অনুপ্রবেশ সম্ভব হচ্ছে না। তাই রাতে নজরদারি এড়িয়ে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করছেন অনেকেই। বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে বিজিবি বাঁশি দিলে তারা মায়ানমারের সীমান্তে চলে যান। টেকনাফে অনুপ্রবেশের সময় রোহিঙ্গা নাগরিক বোঝাই ৬টি নৌকা মায়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

[আরও পড়ুন: জ্বলছে সন্দেশখালি, প্রমিস ডে-তে রিলসে ব্যস্ত সাংসদ নুসরত! ক্ষোভে ফুঁসছেন বাসিন্দারা]

অপরদিকে কক্সবাজারের উখিয়ায় জোয়ারের সঙ্গে খালের ঝিরি দিয়ে মায়ানমার থেকে অজ্ঞাত এক মরদেহ ভেসে এসেছে। স্থানীয়রা বলছেন, মায়ানমারের জুন্টা বাহিনীর কোনো সদস্যের হতে পারে মরদেহটি। মরদেহের মাথায় জলপাই রঙের হেলমেট ও গায়ে খাকি পোশাক পরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ