Advertisement
Advertisement

Breaking News

Bangladesh

কালিয়াচক কাণ্ডের ছায়া বাংলাদেশে, ঘুমের ওষুধ খাইয়ে মা, বাবা, বোনকে খুনের পর ধৃত তরুণী

প্রথম স্বামীর কাছে এ ধরনের অপরাধে হাত পাকিয়েছিল সে, পুলিশি জেরায় কবুল।

In Bangladesh, woman arrested after killing parents and sister by feeding sleeping pills | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 20, 2021 5:14 pm
  • Updated:June 20, 2021 5:14 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: নৃশংস!প্রথম স্বামীর থেকে অপরাধমূলক কাজে হাত পাকিয়েছে। এবার তা প্রয়োগ করার পালা। আর তাই ঘুমের ওষুধ (Sleeping pills) খাইয়ে মা-বাবা-বোনকে খুন! খোদ রাজধানী ঢাকার (Dhaka) কদমতলিতে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে বাড়িরই বড় মেয়ে মেহজাবিন ইসলাম মুনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। তার হাত থেকে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন দ্বিতীয় স্বামী ও সন্তান। পুলিশ সঠিক সময়ে ঘটনাস্থলে না গেলে দ্বিতীয় স্বামী শফিকুল ইসলাম ও আগের পক্ষের মেয়ে তৃপ্তিয়াও তার নৃশংসতার শিকার হতে হতো।

পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার ভোররাতে বাবা-মা ও বোনকে হত্যা করে মেহজাবিন মুন। এরপর শনিবার সকালে ৯৯৯-এ ফোন করে মুন জানায়, পুলিশ দ্রুত না এলে দ্বিতীয় স্বামী ও সন্তানকে সে মেরে ফেলবে। এরপরেই পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অন্য তিনজনের দেহ উদ্ধার করে। লালমিয়া সরকার রোডের ছ’তলা বাড়ির দ্বিতীয় তলা থেকে উদ্ধার হওয়া দেহ – মেহজাবিনের মা মৌসুমী ইসলাম, বাবা মাসুদ রানা ও বোন জান্নাতুলের। আর জখম অবস্থায় মুনের দ্বিতীয় স্বামী ও সতীনের মেয়েকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। মুনকে গ্রেপ্তার করে কদমতলি থানা পুলিশ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কমেনি টাকা পাচার, সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমা অর্থের পরিমাণ ৫ হাজার ৪০০ কোটি]

এত বড় হত্যাকাণ্ডের (Murder) কিনারা করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, শুক্রবার রাতে পরিবারের সবাইকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ায় মুন। সবাই অচৈতন্য হয়ে পড়লে মা-বাবা ও বোনকে গলায় দড়ি দিয়ে বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। দ্বিতীয় স্বামী ও শিশু সন্তানকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়েছিল। তবে তারা অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: আগামী বছরই ঢাকায় শুরু মেট্রো রেল তৈরির কাজ, কেনা হবে ২৫টি ট্রেন]

ঘাতকের আত্মীয়া শীলা জানিয়েছেন, মুন তার পরিবারের সবাইকে শেষ করে দিতে চেয়েছিল। সে তার আগের ঘরের স্বামীকেও খুন করেছিল। সেই মামলায় মেহজাবিন-সহ তার নিহত বাবা-মা ও বোনের জেল হয়েছিল। পাঁচ বছর পর তারা জামিনে ছাড়া পায়। তিনি জানান, দু’দিন আগে স্বামী সন্তানকে নিয়ে মায়ের বাড়িতে বেড়াতে আসে মুন। এসেই তার ছোট বোনের জান্নাতুলের সঙ্গে তার স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে বাবা-মাকে অভিযোগ করে। এ নিয়ে অনেক কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে ধরেই ঘটেছে তিন-তিনটি হত্যাকাণ্ড। প্রতিবেশীর জানিয়েছেন, জায়গা-সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য বাবা-মাকে অনেকদিন ধরেই চাপ দিচ্ছিল মুন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ