Advertisement
Advertisement

Breaking News

Bangladesh

বংলাদেশে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, পুড়ে ছাই কমপক্ষে ২০০টি দোকান

বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা।

Massive fire in Bangladesh guts 200 shops | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:April 29, 2022 4:13 pm
  • Updated:April 29, 2022 8:42 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: ফের ভয়াবহও অগ্নিকাণ্ড বংলাদেশে (Bangladesh)। পুড়ে ছাই কমপক্ষে ২০০টি দোকান। ইদের আগে এহেন ঘটনায় রীতিমতো শোকের ছায়া নেমেছে নোয়াখালির জেলার চৌমুহনী বাজারে।

[আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে পারবে অসম-ত্রিপুরা, জয়শংকরের সঙ্গে বৈঠকে আশ্বাস হাসিনার]

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চৌমুহনীর ব্যাংক রোডের পশ্চিম পাশের ইসলাম মার্কেট, হক মার্কেট ও স্টেশন মার্কেটে আগুন লাগে। পরে প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টার চেষ্টায় তা নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি জানান, অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনে ঘটনাস্থলে যাওয়ার সময় রাস্তায় পড়ে গিয়ে আবদুল করিম রিংকু নামের ৫০ বছর বয়সী এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়।

Advertisement

নোয়াখালি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক জসিমউদ্দিন বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেতে নোয়াখালি, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলার ফায়ার সার্ভিসের নয়টি ইঞ্জিন কাজ করে। পরে রাত ১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে দুই শতাধিক দোকান পুড়ে গিয়েছে বলে জানালেও এতে ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করেতে পারেননি দমকাল বিভাগের আধিকারিকরা।

Advertisement

বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মোছলেহ হোসেন জানান, চৌমুহনীতে আগুন নেভাতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের ব্যবসায়ী ও কর্মচারী-সহ ১২ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৯ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে রাজধানী ঢাকার চকবাজারে। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয় ৭০ জন নিরীহ মানুষের। তারপরই তড়িঘড়ি তদন্তের নির্দেশ দেয় প্রশাসন। সেখানে উঠে আসে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। অগ্নি নির্বাপণের ব্যবস্থায় যে গলদ রয়েছে, তা বেরিয়ে আসে। অভিযোগ, একের পর এক অগ্নিকাণ্ড ঘটলেও নির্বিকার প্রশাসন। প্রতিবারই তদন্তের আশ্বাস দেওয়া হয়। তবে তাতে তেমন কোনও ফল মেলে না। বিশেষ করে ঘিঞ্জি এলাকাগুলিতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা আজও অত্যন্ত শোচনীয়। ফলে ফের এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন অনেকেই।

[আরও পড়ুন: যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবের সফর চলাকালীন মিসাইল হানা রাশিয়ার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ