Advertisement
Advertisement

Breaking News

রোহিঙ্গা প্রত্যর্পণ

রোহিঙ্গাদের ফেরানোর প্রস্তুতি! উখিয়ার শরণার্থী ক্যাম্পে পরিদর্শন মায়ানমারের প্রতিনিধি দলের

প্রত্যর্পণ সম্পর্কে রোহিঙ্গাদের মতামত শোনেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।

Myanmar delegation meets rohingyas in cox bazar camp in Bangladesh

ফাইল ফটো

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:December 19, 2019 2:30 pm
  • Updated:December 19, 2019 2:39 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: কক্সবাজারের উখিয়ার শরণার্থী ক্যাম্পে এসে প্রত্যর্পণ নিয়ে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলল মায়ানমার ও আসিয়ানের একটি যৌথ প্রতিনিধি দল। বুধবার দুপুরে উখিয়ার কুতুপালং মধুরছড়া ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এসে পৌঁছয় তারা। মায়ানমারে রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (ICJ) গাম্বিয়ার মামলা এবং বাংলাদেশ সেনাপ্রধানের মায়ানমার সফর শেষ হতেই যৌথ প্রতিনিধি দলের দুদিনের সফর শুরু হয়।

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নিকারুজ্জামান চৌধুরি জানান, এই নিয়ে তিনবার মায়ানমারের প্রতিনিধিরা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শনে এল। এর আগে ২০১৮ সালে এবং চলতি বছরের জুলাই মাসে এসেছিল। বুধবার সকাল ১১ টার সময় ঢাকা থেকে বিমানে কক্সবাজার বিমানবন্দর পৌঁছয় মায়ানমারের প্রতিনিধি দলটি। পরে সেখান থেকে তারা উখিয়া যায়। এই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন মায়ানমারের বিদেশ মন্ত্রকের আন্তর্জাতিক সংস্থা ও অর্থনৈতিক বিভাগের প্রধান চেন আইয়ে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: চাপের মুখে রাজাকারদের ‘ত্রুটিপূর্ণ’ তালিকা প্রত্যাহার করল বাংলাদেশ]

 

Advertisement

অন্যদিকে, আসিয়ানের সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল দুপুর পৌনে দুটোয় কুতুপালং মধুরছড়ার ৪ নম্বর ক্যাম্পে পৌঁছায়। তারপর ওই ক্যাম্পটির ইনচার্জের কার্যালয়ে বসে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বৈঠক করে। এই বৈঠকে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ৪১ জন পুরুষ এবং ছ’জন মহিলা ছাড়াও ছিলেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মহম্মদ মাহবুবুল আলম তালুকদার, জেলা প্রশাসন ও ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধিরা। এরপর বৃহস্পতিবার সকালেও রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বৈঠক করেন যৌথ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। আর বিকেলে কক্সবাজারে এসে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন।

[আরও পড়ুন: ভারতকে কড়া বার্তা বাংলাদেশের, নদী সংক্রান্ত বৈঠক বাতিল করল ঢাকা ]

 

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মায়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনীর কয়েকটি ক্যাম্পে হামলা চালায় রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা। এই ঘটনার জেরে রোহিঙ্গাদের গ্রামগুলিতে অত্যাচার চালানোর অভিযোগে ওঠে মায়ানমারের সেনার বিরুদ্ধে। প্রাণ বাঁচাতে গত দু’বছরে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। মায়ানমারে রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে নেদারল্যান্ডসের রাজধানী হেগে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে ১৯৪৮ সালের জেনেভা কনভেনশনের অধীনে মামলা করে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া। গত ১২ ডিসেম্বর এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। তার আগে গত ৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ চারদিনের সরকারি সফরে মায়ানমার যান। সেখানে তিনি বাস্তুচ্যুত মায়ানমার নাগরিকদের বাংলাদেশ থেকে প্রত্যর্পণ-সহ নানা বিষয়ে আলোচনা করেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ