Advertisement
Advertisement
Bangladesh

চিন্ময়কে জেলে আটকে রাখতে এবার নতুন মামলা, বিচারের নামে প্রহসন বাংলাদেশে

গত ৮ মাস ধরে গরাদের পিছনে রয়েছেন ইসকনের এই সন্ন্য়াসী।

New case filed against Chinmoy Prabhu in Bangladesh
Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:June 16, 2025 4:41 pm
  • Updated:June 16, 2025 4:41 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আদৌ কি কোনও দিন জেলমুক্তি হবে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর? যতদিন যাচ্ছে এই প্রশ্নই জোরাল হচ্ছে। তাঁকে জেলে আটকে রাখতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে মহম্মদ ইউনুসের সরকার। বিচারের নামে প্রহসন চলছে বাংলাদেশে। এবার ইসকনের এই সন্ন্য়াসীকে গরাদের পিছনে রাখতে নতুন মামলা দায়ের করা হয়েছে। দেশের প্রধান বন্দর নগর চট্টগ্রামে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় তাঁকে জেলে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছে আদালত।

Advertisement

জানা গিয়েছে, পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন এ আদেশ দেন। নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন জানান, কারাগারে থাকা চিন্ময় দাসকে কোতোয়ালি থানার বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় জেলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী আধিকারিক। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর হয়েছে।

গত বছরের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয় কোর্ট চত্বরে। যার মধ্যে আইনজীবী সইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এছাড়া পুলিশের
উপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের উপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ৬টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন। তাঁদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ২১ জন গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সূত্র জানায়, সইফুল হত্যার আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ২৫ নভেম্বর বিকালে ইসকনের সন্ন্যাসীকে ঢাকার বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। ২৬ তারিখ চট্টগ্রামের আদালতে তোলা হয় তাঁকে। আনা হয় রাষ্ট্রদোহ মামলা। শুনানি শেষে জামিন খারিজ হয়ে যায় চিন্ময় প্রভুর। এরপর হামলার মুখে পড়ে আইসিইউ-তে ভর্তি হতে হয় তাঁর আর এক আইনজীবীকে। এই গ্রেপ্তারি নিয়ে বাংলাদেশে প্রতিবাদের ঝড় তোলেন হিন্দুরা। কড়া বার্তা দেয় ভারতও। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। প্রায় ছয় মাস হয়ে গেলেও গারদের পিছনেই রয়েছেন চিন্ময় প্রভু। গত ৩ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম আদালতে তাঁর শুনানি ছিল। কিন্তু ‘প্রাণভয়ে’ ৫১ জন আইনজীবী দলের কেউই চিন্ময়ের হয়ে আদালতে সওয়াল করতে আসেননি। ফলে পিছিয়ে যায় জামিন মামলার শুনানি।

পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক হয় ২ জানুয়ারি। সেদিনও জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে পিছিয়ে যায় শুনানি। এরপর ১৪ জানুয়ারি চট্টগ্রাম আদালত থেকে মামলা যায় উচ্চ আদালতে। এপ্রিল মাসে ঢাকা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জামিন মঞ্জুর করে। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গেই সরকার পক্ষের তরফে তাতে স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করা হয় অন্য বেঞ্চে। তাতেই স্থগিত হয়ে যায় জামিন। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। তারপর আইনজীবী সইফুল হত্যা মামলায় আনা হয়। জেলে অসুস্থ হয়ে পড়লেও মেলেনি রেহাই। হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশে মৌলবাদীদের হাতে নিপীড়িত হিন্দুদের হয়ে আওয়াজ তোলার জন্যই তাঁকে নিশানা করা হচ্ছে, একথা স্পষ্ট।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement