Advertisement
Advertisement

Breaking News

এনআরসি

নাগরিকপঞ্জি ‘ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়’, প্রতিক্রিয়া এড়িয়ে মন্তব্য বাংলাদেশের দুই মন্ত্রী

পরিস্থিতির দিকে সদা নজর রাখা হচ্ছে বলে দায় এড়িয়েছেন দুজনেই।

'NRC is India's internal matter', say ministers of Bangladesh
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:September 1, 2019 8:44 pm
  • Updated:September 1, 2019 8:44 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশ লাগোয়া অসমে নাগরিকপঞ্জি নিয়ে মুখে কুলুপ সেখানকার প্রশাসনের। এখনই এনিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাইলেন না বাংলাদেশ সরকারের প্রভাবশালী দুই মন্ত্রী। সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল – উভয়েরই মন্তব্য, ‘এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।’ তাঁরা আরও বলেছেন, এনআরসির জেরে অসমের গতিপ্রকৃতির দিকে সর্বদা তাঁদের নজর
রয়েছে। ওবায়দুল কাদের শাসকদল আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদকও। ফলে একই অবস্থান আওয়ামি লিগেরও।

[আরও পড়ুন: আগেই হয়েছে কথা! অসম থেকে বিতাড়িত বাংলাভাষীদের নেবে না হাসিনার দেশ]

নানা বিতর্কের মধ্যে দিয়েই শনিবার অসমের চূড়ান্ত নাগরিকপঞ্জি শনিবার প্রকাশিত হয়েছে, যাতে ১৯ লক্ষ রাজ্যবাসীর নাম নেই। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরুর আগে ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের আগে অসমে যাঁরা আবাস গড়েছেন, তাঁরাই তালিকায় রয়েছেন। নাগরিকপঞ্জিতে বাদ পড়া ব্যক্তিদের ‘অবৈধ বাংলাদেশি’ হিসেবে চিহ্নিত করে ভারত থেকে বের করে দেওয়া হতে পারে, এই আশঙ্কা রয়েছে। যদিও এর চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হতে আরও কয়েকটি ধাপ বাকি। রবিবার ঢাকার সচিবালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে ওবায়দুল কাদেরের কাছে অসমের নাগরিকপঞ্জি নিয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। জবাবে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।তবে এটা পর্যবেক্ষণ করছি, এই কারণে এখানে যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া আছে, আপিল করার সুযোগ আছে উচ্চ আদালতেও। কাজেই বিষয়টি সম্পর্কে এই মুহূর্তে শীর্ষস্তরে কোনও মন্তব্য
করার সুযোগ নেই।’
নাগরিকপঞ্জিতে বাদ পড়াদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর সম্ভাবনা নিয়ে ভারতের সংবাদ মাধ্যমে নানা জল্পনা উঠছে। এনিয়ে বাংলাদেশের কোনও প্রস্তুতি রয়েছে কি না, তা জানতে চাইলে মন্ত্রী কাদের বলেন, ‘আমরা সতর্ক আছি। আমরা পর্যবেক্ষণ করছি।’ রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি অসমের অবৈধ নাগরিকদের নিয়ে বাংলাদেশ ‘ভূ-রাজনৈতিক ঘুঁটি’ হতে যাচ্ছে বলেও কারও কারও আশঙ্কা। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে কাদেরের জবাব, ‘দেখুন বাংলাদেশ এখন অর্জনে উন্নয়নে মিশে অনেকেরই ঈর্ষার কারণ। কাজেই অনেকে বাংলাদেশকে নিয়ে সমীহ আছে, অনেকেরই ভূ-রাজনৈতিক বিষয় তো আছেই। জিও-পলিটিক্যাল বিষয় আছে। এটা আগেও ছিল, এখন আরও বেশি
হয়েছে।’

Advertisement

তবে যে কোনও সমস্যায় আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধানে বাংলাদেশ সরকার আগ্রহী বলে জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক কাদের। তিনি বলেন, ”যে কোনও ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আমরা তৈরি আছি। আমরা তো কারও সঙ্গে যুদ্ধ করতে যাচ্ছি না, আমরা শান্তি ফেরানোর চেষ্টা করছি। বাংলাদেশের সংবিধান ‘সবার সাথে বন্ধুত্ব কারও সাথে শত্রুতা নয়’- এ নীতির ভিত্তিতে আলাপ-আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করতে চায়।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরানোয় জটিলতা, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলিকে দুষল ঢাকা]

এদিকে রবিবার গাজীপুরের কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সে কারারক্ষীদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অসম নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালও। তিনি বলেন, ‘ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাই না। তারা যদি আমাদের সঙ্গে কিছু বলে তাহলে আমাদের প্রতিক্রিয়া আমরা জানাব।’ এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, একাত্তর
সালের পরে আমাদের বাংলাদেশ থেকে কোনও নাগরিক ভারতে যায়নি। যারা গিয়েছে, তারা আগেই গিয়েছে। ভারত থেকে লোক যেমন এ দেশে এসেছেন, তেমনই আমাদের দেশ থেকেও গিয়েছেন। কাজই এনিয়ে আমাদের চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।’

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ