সুকুমার সরকার, ঢাকা: পালিয়ে প্রাণ রক্ষা করলেও ভিটেমাটি হারিয়েছিলেন প্রায় ছয় লক্ষ রোহিঙ্গা। স্বদেশের স্বাধীনতা খুইয়ে শরণার্থী শিবিরে কোনওভাবে মাথা গোঁজার লড়াই করতে হচ্ছে তাঁদের। এবার শেষ হতে চলেছে রোহিঙ্গাদের দুর্দিন। শরণার্থীদের দেশে ফেরাতে এবার বাংলাদেশ ও মায়ানমার মধ্যে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে আইনি প্রক্রিয়া। শুক্রবার, নাইপিদাও-য়ের কাছে এক লক্ষ রোহিঙ্গা বাস্তুহারাদের তালিকা পেশ করল ঢাকা। সব ঠিক থাকলে প্রথম দফায় তালিকাভুক্তদের রাখাইন প্রদেশে ফেরত পাঠানো হবে।
[রোহিঙ্গা ইস্যুতে গোটা বিশ্বকে এগিয়ে আসার আহ্বান পোপের]
এই নয়া পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী ওবেইদুল কাদের। এদিন কক্সবাজারের উখিয়া কুতুপালং-১ ক্যাম্পে একটি স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন তিনি। সেখানেই এই পদক্ষেপের কথা জানান কাদের। মায়ানমারের সঙ্গে প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত জটিলতা অনেকটাই কেটেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ভিটেমাটি হারানোদের কখনওই বিপদের মুখে ঠেলে দেবে না ঢাকা। বিশ্ব মানচিত্রে ব্রাত্য হলেও রোহিঙ্গাদের জন্য দরজা খোলা রেখেছে বাংলাদেশ। প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত শরণার্থীদের সমস্ত সম্ভব সাহায্য দেবে হাসিনা সরকার।
এদিনের জনসভায় খালেদা জিয়ার দলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন কাদের। বিএনপি-র প্রতি কটাক্ষ হেনে তিনি বলেন, নির্বাচন কারও জন্যই থেমে থাকবে না। সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া মেনেই পূর্ব নির্ধারিত সময়েই ভোটগ্রহণ শুরু হবে। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, অবশেষে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপের মুখে নতিস্বীকার করেছে সু কি সরকার। এবার শরণার্থীদের ফেরত নিয়ে মুখরক্ষার চেষ্টায় নেমেছে নাইপিদাও। তবে অন্দরের বৌদ্ধ চরমপন্থীদের চাপের মুখে প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া ধাক্কা খেতে পারে বলেও মত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের।
[রোহিঙ্গাদের হাত ধরে রাজ্যে ঢুকছে ‘হিটলার’ জমানার ভয়ংকর ট্যাবলেট]