Advertisement
Advertisement

Breaking News

Bangladesh

হতাশা থেকে অপরাধে জড়াচ্ছে রোহিঙ্গারা, শরণার্থীদের দুর্দশা তুলে ধরলেন হাসিনা

রোহিঙ্গা শিবিরে জনবিস্ফোরণ নিয়ে আলোচনা করেন হাসিনা।

Rohingya refugees indulging in crime due to frustration, says Hasina | Sangbad Pratidin

ফাইল ফটো

Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:May 25, 2022 3:39 pm
  • Updated:May 25, 2022 3:39 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: দেশে ফিরতে না পারার হতাশা থেকেই অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গারা। এমনটাই বক্তব্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার (ইউএনএইচসিআর) ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডির সঙ্গে মঙ্গলবার সাক্ষাৎ করেন হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ওই সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এই কথা বলেন।

[আরও পড়ুন: করোনার পর নয়া আতঙ্ক মাঙ্কিপক্স, বাংলাদেশের বিমানবন্দর ও স্থলসীমান্তে জারি সতর্কতা]

ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডির সঙ্গে আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী হাসিনা বলেন, “রোহিঙ্গারা তাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে দীর্ঘ অনিশ্চয়তার কারণে হতাশ হয়ে পড়ছে। এর একটি সম্ভাব্য ঝুঁকি রয়েছে। এটি তাদের অনেককে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত হতে প্ররোচিত করছে।” বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন । তিনি জানান, শেখ হাসিনা ইউএনএইচসিআরকে বলেন, “বাংলাদেশ সরকার রাখাইন রাজ্যে যা পাওয়া যায় তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মায়ানমারের পাঠ্যক্রম ও ভাষার পাশাপাশি দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রম অনুসরণ করে অনানুষ্ঠানিক শিক্ষার সুবিধা দিচ্ছে। ১১ লক্ষের বেশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমারের নাগরিক বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার কারণে গভীর বনভূমি কক্সবাজারের উখিয়ার পরিবেশ নষ্ট হয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “তারা গাছ কাটার মাধ্যমে বনভূমি হ্রাস এবং এলাকার পরিবেশগত বিপর্যয় সৃষ্টি করছে।’

Advertisement

রোহিঙ্গা শিবিরে জনবিস্ফোরণের আশঙ্কা নিয়ে হাসিনা বলেন, প্রতি বছর ৪৫ হাজার রোহিঙ্গা শিশুর জন্ম হচ্ছে। তাদের সরকার সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা-সহ ভাসানচর দ্বীপে রোহিঙ্গাদের জন্য অস্থায়ী আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছে। আমাদের সরকার এক লক্ষ রোহিঙ্গাকে সাময়িকভাবে আশ্রয় দেয়ার জন্য ভাসানচরকে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে গড়ে তুলেছে। শেখ হাসিনা আরও বলেন, এ পর্যন্ত ৩০ হাজার রোহিঙ্গাকে অস্থায়ী আশ্রয়ে স্থানান্তর করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাপী উদ্বাস্তু, রাষ্ট্রহীন ও বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের সহায়তায় ইউএনএইচসিআরের ভূমিকার প্রশংসা করেন। অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ এম. জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এবং ইউএনএইচসিআর বাংলাদেশের প্রতিনিধি জোহানেস ভ্যান ডার ক্লাউ উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

বৈঠকে ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি শেখ হাসিনার আশঙ্কার সঙ্গে একমত হন যে রোহিঙ্গাদের দীর্ঘ অবস্থান তাদের অনেককে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত হতে প্ররোচিত করবে। মায়ানমার সফরের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু করতে তিনি বর্তমান মায়ানমার সরকারকে অনুরোধ করেছেন। তিনি আরও বলেন, “মায়ানমারের বর্তমান সরকার প্রত্যাবাসন শুরু করতে সম্মত হয়েছে। ইউএনএইচসিআর প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করবে।” ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বিপুল সংখ্যক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ায় সরকারের প্রশংসা করেন।

[আরও পড়ুন: মে মাসের শেষেই ফের ভারত-বাংলাদেশ রেল পরিষেবা চালু, যাত্রা শুরু করবে নতুন ট্রেনও]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ