সুকুমার সরকার, ঢাকা: ৪২ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে বাংলাদেশের উপর চাপ বড়াচ্ছে সৌদি আরব। সম্প্রতি এই বিষয়ে ঢাকা ও রিযাধের মধ্যে একাধিকবার আলোচনাও হয়েছে। সদ্য আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সম্মেলনেও রোহিঙ্গা প্রসঙ্গ এসেছে।
জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে সৌদি আরবে প্রায় ৪২ হাজার রোহিঙ্গা রয়েছে। সৌদি সরকার সূত্রে খবর, বাংলাদেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করে রোহিঙ্গারা আকাশপথে দেশে প্রবেশ করেছে। এবার এদের বাংলাদেশ ফিরিয়ে নিক। এই প্রসঙ্গে গত বছর একাধিকবার বাংলাদেশকে চিঠি দিয়েছে সৌদি আরব। ওই চিঠির জবাবে বাংলাদেশ বিষয়টি আরও বিস্তারিতভাবে জানাতে সৌদি আরবকে অনুরোধ করেছে। ঢাকায় ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে চলা দুই দেশের যৌথ কমিশনের বৈঠকে সৌদি আরব প্রসঙ্গটি তুলতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে দুই দেশের কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।
সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ জানিয়েছেন, এবারের আলোচনায় বাংলাদেশ কর্মী পাঠানো, ব্যবসা ও বিনিয়োগ বাড়ানো, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর মতো বিষয়গুলিকে অগ্রাধিকার দেবে। সৌদি আরবের অগ্রাধিকার থাকবে অনিয়মিত হয়ে পড়া বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানোর বিষয়টি। ওই দেশে থাকা রোহিঙ্গাদের প্রত্যর্পণ নিয়ে দু’দেশের মধ্যে আরও আলোচনা হবে।
উল্লেখ্য, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশ। প্রত্যাবাসন চুক্তিতে স্বাক্ষর করলেও সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর শরণার্থীদের ফিরিয়ে নিতে টালবাহানা করছে মায়ানমার। সম্প্রতি প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সময় ক্রমাগত পিছিয়ে যাওয়ায় স্থানীয়রা অর্থনৈতিক, সামাজিক, পরিবেশগত, নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক বিভিন্ন দিক থেকে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। স্থানীয়রা সংখ্যালঘু হয়ে গিয়েছে। কক্সবাজারের মোট জনসংখ্যার ৩৪.৮ শতাংশ বাঙ্গালদেশি। রোহিঙ্গা শরণার্থীরা মোট জনসংখ্যার ৬৩.২ শতাংশ। এতে স্থানীয় অধিবাসীদের মধ্যে মানসিক চাপ তৈরি ইচ্ছে।