Advertisement
Advertisement
Bangladesh

শেষ প্রচার, ১৫ বছর পর নারায়ণগঞ্জ শহরে সভা হাসিনার, অব্যাহত বিএনপি-র ‘সন্ত্রাস’

এখনও পর্যন্ত দেশে ১৩৮টি সংঘর্ষে ১২ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

Sheikh Hasina will conduct election rally at Narayangunj after 15 years amidst BNP violence | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:January 4, 2024 7:14 pm
  • Updated:January 4, 2024 7:14 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: বিএনপি-র (BNP) ভোট বয়কটের ডাক, দেশজুড়ে বিরোধীদের সন্ত্রাস, আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও নির্বাচন নিয়ে উৎসাহের শেষ নেই বাংলাদেশের (Bangladesh) আমজনতার। প্রার্থীদের সমর্থনে দেশজুড়ে ব্যাপক প্রচার চলছে। তাতে শামিল হচ্ছেন সাধারণ মানুষজন। তবে অশান্তিও ঘটছে। নির্বাচনী হিংসায় এরই মধ্যে অন্ততঃ ১২ জন প্রাণ হারিয়েছেন, জখম শতাধিক। পুড়েছে নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্র। এমনকী পুলিশের উপরও হামলা হয়েছে। অনেক প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশনের শোকজও খেতে হয়েছে। বৃহস্পতিবার শেষবারের জন্য প্রচার সারলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর পর নারায়ণগঞ্জ শহরে জনসভা করলেন আওয়ামি লিগ (Awami League) সভাপতি। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টে নাগাদ শহরের ইসদাইর একেএম শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স জনসভা করেন শেখ হাসিনা।

অপরদিকে নির্বাচন বর্জন করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি বলেছেন, ”এটি কোনও নির্বাচন নয়, এটি জনগণের সঙ্গে প্রতারণা মাত্র। ভোট বয়কটের আহবান জানিয়ে আগামিকাল, শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সারাদেশে মিছিল ও গণসংযোগ করবে বিএনপি। এদিকে নির্বাচনী সহিংসতায় ঢাকার অদূরে মুনসিগঞ্জ (বিক্রমপুর)সদর ও দেশের দক্ষিণ জনপদ জেলা পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় দুজন নিহত হয়েছেন। রাজনৈতিক বিরোধে গত বছর দেশে ৯৬ জনকে হত্যা করা হয়েছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গত মাসে ১৩৮টি সংঘর্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন। এনিয়ে এ যাবৎ ১২ জন প্রাণ হারালেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘বাংলাদেশের পরিস্থিতি জটিল’, ভোট নিয়ে নির্বাচন কমিশনারকে স্মারকলিপি জমা মহিলা পরিষদের]

দেশের পূর্বাঞ্চলীয় জেলা জামালপুরে নির্বাচনী প্রচারকেন্দ্র ভাঙচুর, মোটরবাইকে অগ্নিসংযোগ ও সড়ক অবরোধ হয়েছে। বুধবার রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ, RAB লাঠিচার্জ করে। এতে ৫ সাংবাদিক-সহ অন্তত ২০ জন জখম হন। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজনের কাছে লাঞ্ছিত হন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। ভোট বর্জনের দাবিতে ঢাকার ধামরাইয়ে কালামপুরে লাঠি মিছিল বের করে বিএনপি। এ সময় পুলিশ বাঁধা দিলে দলটির নেতাকর্মীরা পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় পুলিশের এএসআই আবদুস সোবহান-সহ দুজন আহত হয়েছেন। পরে এ ঘটনায় বিএনপি-র তিন কর্মীকে আটক করে পুলিশ। এছাড়া কয়েক জেলায় নির্বাচনী সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে মুনসিগঞ্জ সদর উপজেলার বজ্রযোগিনীর বটতলায় নৌকার ক্যাম্পে হামলা ও গুলি করা হয়েছে। নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচার কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ইউনুসের কারাদণ্ড, বাংলাদেশকে তোপ আমেরিকার]

এসব ঘটনায় আট কর্মী-সমর্থককে কুপিয়ে জখম করা হয়। নাটোরের সিংড়ায় লিফলেট বিতরণকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামি লিগ নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে দুই পুলিশ সদস্য-সহ কমপক্ষে সাতজন আহত হয়েছে। পটুয়াখালি জেলার গলাচিপায় নৌকার নির্বাচনী অফিসে আগুন দিয়েছে দুষ্কৃতীরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ