Advertisement
Advertisement

Breaking News

ULFA

উলফা নেতা অনুপ চেতিয়ার মেয়ের সঙ্গে বাংলাদেশি পাত্রের বিয়ে ঘিরে শোরগোল

বাংলাদেশে প্রায় ২৮ বছর ছিলেন অনুপ চেতিয়া।

ULFA leader Anup Chetia's daughter marries Bangladeshi-Australian lad | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:October 7, 2022 4:49 pm
  • Updated:October 7, 2022 4:49 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: একসময় ‘বঙাল খেদাও’ হুঙ্কার দিয়েছিলেন তিনি। এবার অবস্থান বদলে বাংলাদেশি পাত্রের সঙ্গেই মেয়ের বিয়ে দিলেন উলফা নেতা অনুপ চেতিয়া ওরফে গোলাপ বরুয়া। দুর্গাপুজোর মাঝেই বাংলাদেশের পাত্র অনির্বাণ চৌধুরীর সঙ্গে কন্যা বন্যা বরুয়ার বিয়ে দেন তিনি বলে খবর।

জানা গিয়েছে, সেপ্টেম্বরের ৩০ তারিখ অনির্বাণের সঙ্গে বিয়ে হয় বন্যার। তবে আগামী ২৫ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার মেলবর্নে বিয়ের আরও একটি অনুষ্ঠান হবে। বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলীয় জেলা কুমিল্লার ছেলে অনির্বাণ চোধুরী। বর্তমানে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন। সেখানেই ফের একবার দুই পরিবারের উপস্থিতিতে বিয়ের আরও একটি অনুষ্ঠান হবে।

Advertisement

বলে রাখা ভাল, অসমে বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্যকলাপ চালাতে বাংলাদেশে (Bangladesh) ছিলেন অনুপ চেতিয়া ও তাঁর পরিবার। সেখানে ওই উলফা নেতার মেয়ে বন্যা বরুয়া ঢাকার ধানমন্ডির মাস্টারমাইন্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে পড়তেন। অনির্বাণ চৌধুরীও একই স্কুলে পড়তেন। সে সময় তাঁদের দু’জনের পরিচয় হয়। এরপর তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মজার ছলে জঙ্গি দলে নাম লিখিয়ে বিপত্তি, র‌্যাবের হাতে আটক ৭ কলেজ পড়ুয়া]

উল্লেখ্য, অসমকে বিদেশি মুক্ত (পড়ুন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী) করার উদ্দেশে ১৯৭৯ সালে অসমের শিবসাগর জেলায় তৈরি হয় ‘ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ অসম‘ (ULFA)। কিন্তু পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের মদতে বাংলাদেশেই শিবির তৈরি করে সংগঠনটি। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক অনুপ চেতিয়া বাংলাদেশে প্রায় ২৮ বছর ছিলেন। ওই সময় ঢাকায় ক্ষমতা ছিল বেগম খালেদা জিয়ার বিএনপি এবং জেনারেল হুসেইন মহম্মদ এরশাদের হাতে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই সময় সরকার থাকাকালে ১৯৯৭ সালের ২১ ডিসেম্বর ঢাকার মহম্মদপুর এলাকার একটি বাড়ি থেকে অনুপ চেতিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান এবং অবৈধভাবে বিদেশি মুদ্রা ও একটি স্যাটেলাইট ফোন রাখার অভিযোগে তিনটি মামলা হয়। আদালত তিনটি মামলায় তাকে যথাক্রমে তিন, চার ও সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়। একসঙ্গে তিন মামলার সাজা কার্যকর হওয়ায় সাত বছর পরই ২০০৪ সালে তার সাজার মেয়াদ শেষ হয়।

এদিকে, বিএনপি-জামাত সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে অনুপ চেতিয়াকে ভারতে হস্তান্তরের পরিবর্তে তাকে কারাগারেই আটক রাখা হয়। কারূন এমনটাই চাইছিল আইএসআই। স্বাভাবিক কারণেই ভারতের পরিবর্তে বাংলাদেশের কারাগারেই থাকতেই চেয়েছিলেন অনুপ চেতিয়া। আবার শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলে ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর কাশিমপুর কারাগার থেকে অনুপ চেতিয়াকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তিনি বর্তমান ভারতে কারাগারে রয়েছেন এবং সরকারের সঙ্গে উলফার শান্তি আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

[আরও পড়ুন: ‘ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করলেই শাস্তি’, সম্প্রীতি রক্ষায় আরও কড়া হাসিনা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ