Advertisement
Advertisement

সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি, যৌথ প্রকল্প উদ্বোধনে কড়া বার্তা হাসিনার

বাংলাদেশের পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নতিতে হাত বাড়াল ভারত।

Zero tollaerance on terrorism, Hasina's messege
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:March 11, 2019 7:10 pm
  • Updated:March 11, 2019 7:10 pm

সুকুমার সরকারঢাকা: ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে বাস এবং ট্রাক সরবরাহকারী চারটি প্রকল্পের সূচনা হয়ে গেল সোমবার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্পোরেশনে ১১০০ বাস ও ট্রাক সরবরাহ সংক্রান্ত প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। বাংলাদেশের সময় বেলা ১টা ১০ নাগাদ দুই প্রধানমন্ত্রী দিল্লি এবং ঢাকা থেকে প্রকল্পগুলির সূচনা করেন।

শেখ হাসিনা জানান, দ্বিতীয় লাইন অফ ক্রেডিট-এর আওতায় ভারত থেকে দোতলা বাস, একতলা এসি ও নন-এসি বাস এবং ট্রাক আমদানি, ভারতীয় আর্থিক অনুদানে পাঁচ জেলা – জামালপুর, শেরপুর, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৩৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন, ভারতীয় অনুদানে বরিশাল বিভাগের পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়ায় ১১টি জল শোধনাগার স্থাপন  এবং সার্কভুক্ত দেশগুলোতে ভারতের ন্যাশনাল নলেজ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের আওতায় বাংলাদেশে এই নেটওয়ার্কের সম্প্রসারণ হয়েছে। বিআরটিসি চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ মিয়া জানান, তারা ভারত থেকে প্রাপ্ত ঋণে ৬০০ বাস ও ৫০০ ট্রাক পেয়েছেন।  ইতিমধ্যে ৪৭টি বিআরটিসি বাস ও ২৫টি ট্রাক বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে। বাকি বাস ও ট্রাক চলতি বছরের জুনের মধ্যে এসে পৌঁছাবে। এছাড়া ভারত সরকারের অনুদান অর্থায়নের আওতায় জামালপুর, শেরপুর, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক এবং পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া পৌরসভায় ১১টি জল বিশুদ্ধিকরণ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন দুই প্রধানমন্ত্রী। 

Advertisement

বাতিল আরও দুই জেহাদি বধূর নাগরিকত্ব

এই অনুষ্ঠানেই দ্বিপাক্ষিক সুসম্পর্ক এবং বন্ধুত্বের কথা স্বীকার করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন,  ‘‘ভারত-বাংলাদেশ নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ব্লু ইকোনমি, মেরিটাইম, পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার, মহাকাশ গবেষণা, ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ রপ্তানি, সাইবার সিকিউরিটি। এসব বহুমুখী ও বহুমাত্রিক সহযোগিতার ফলে আমাদের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিশ্ববাসীর সামনে দৃষ্টান্ত রেখেছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতেও এই পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।’’ এদিন সন্ত্রাস দমনেও কড়া বার্তা দিয়েছেন শেখ হাসিনা। কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সন্ত্রাসবাদী হামলায় শহিদ পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক, বহুপাক্ষিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমাদের এই অঞ্চল এবং এর বাইরে সন্ত্রাসবাদ দূর করতে আমরা বদ্ধপরিকর। বাংলাদেশ সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের প্রতি ‘শূন্য সহনশীলতা’র নীতি পোষণ করে। কোনও সন্ত্রাসবাদী সংগঠনকে কখনোই বাংলাদেশের মাটিতে আশ্রয় দেওয়া হবে না।’

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ