Advertisement
Advertisement

Breaking News

রাজ্যে প্রবেশ ১২ জেহাদির, গোয়েন্দা তথ্যে চাঞ্চল্য

হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বাংলাদেশে বসেই জঙ্গিদের নির্দেশ দিচ্ছে চাঁইরা।

12 JMB terrorists from Bangladesh infiltrate West Bengal: Report

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 18, 2017 8:28 am
  • Updated:July 18, 2017 8:28 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খাগড়াগড় থেকে শুরু করে কলকাতার বুকে পাক গুপ্তচর চক্রের হদিস। ক্রমশ রাজ্যে ছড়াচ্ছে ‘জেহাদি’ শক্তির জাল। এমনই পরিস্থিতিতে  নিরাপত্তামহলে উদ্বেগ বাড়িয়ে উঠে এল এক ভয়াবহ তথ্য। গত দেড় বছরে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন নিও জেএমবি-র প্রায় ১২ সদস্য সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গে। এমনটাই জানা গিয়েছে গোয়েন্দাসংস্থার একটি রিপোর্টে। জঙ্গি সংগঠনটির দুই নেতা হাতকাটা নাসিরুল্লাহ ও সালাউদ্দিনের এদেশেই নাশকতার ছক কষছে জঙ্গিরা বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা।

প্রসঙ্গত, বশিরহাট অশান্তির পেছনে বাংলাদেশ থেকে আসা সন্দেহভাজনদের হাত আছে বলে অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে সম্প্রীতি নষ্ট করে অশান্তি ছড়ানোর ছক কষেছে তারা বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। ইতিমধ্যে গোয়েন্দা রিপোর্টে নড়েচড়ে বসেছে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। প্রশাসনের কপালেও পড়েছে গভীর ভাঁজ। কয়েকদিন আগেই বাংলাদেশে ধরা পড়েছে খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের মূল অভিযুক্ত নাসিরুল্লাহ। তাকে জেরা করেই এই গোপন তথ্য জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। জানা গিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগিয়েও সন্ত্রাসের বীজ ছড়াচ্ছে জঙ্গিরা। হোয়াটসঅ্যাপের মতো মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে বাংলাদেশে বসেই জঙ্গিদের নির্দেশ দিচ্ছে চাঁইরা।

Advertisement

[চিনের রকেট হামলায় মৃত্যু ১৫৮ জন ভারতীয় সেনার!]

Advertisement

অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, অসম, উত্তরপ্রদেশ, এমনকী, দক্ষিণ ভারতের কয়েকটি রাজ্যে রয়েছে নব্য জেএমবি-র সহমর্মীরা। তারাই বাংলাদেশি জঙ্গিদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। তবে গোয়েন্দাদের অনুমান,  প্রাথমিকভাবে তাদের কয়েকজন কলকাতা ও বর্ধমানের কয়েকটি গোপন আস্তানায় গা-ঢাকা দিয়েছিল। এখনও এই  আস্তানাগুলিতে তারা রয়েছে কি না, তা জানতে নাসিরুল্লাহকে জেরা করা হয়।

দু’বছর আগে খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের পর জেএমবির নেটওয়ার্ক ভেঙে গিয়েছিল। এবার নব্য জেএমবি ভারতে নতুন করে নেটওয়ার্ক ও স্লিপার সেল তৈরির মতলব  করছে। ওই স্লিপার সেলগুলি বাংলাদেশ থেকে আসা জঙ্গিদের আশ্রয় ও তার সঙ্গে দেশের যে কোনও জায়গায় নাশকতা করার আগে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে দেবে। পশ্চিমবঙ্গের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা ও বিহার, ঝাড়খণ্ড, অসম, উত্তরপ্রদেশে নব্য জেএমবি ফের লোক নিয়োগের চেষ্টা করছে। তরুণ ও তরুণীদের মগজধোলাইয়ের জন্য আইএস-এর আদলে ‘সাইবার সেল’ বানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। উত্তরপ্রদেশের বারাণসী-সহ একাধিক জায়গায় নব্য জেএমবির জঙ্গিরা নাশকতার ছক করছে বলেও খবর আছে। এবার পলাতক ১২ জঙ্গির তালিকা তৈরি করে তাদের খোঁজ শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা।

[মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে ভেসে আসছে অজানা সংকেত!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ