জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: শৌচকর্ম সারতে গিয়ে বোমা ফেটে কিশোরের মৃত্যুর জের। বনগাঁবাসীকে গ্রাস করেছে আতঙ্ক। ভয়ে সন্তানদের ঘর থেকে বের হতে দিচ্ছেন না অভিভাবকরা।
সোমবার বনগাঁ পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বক্সিপল্লি এলাকায় বোম ফেটে ১১ বছরের কিশোরের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল ৷ তারপর পেরিয়েছে দীর্ঘক্ষণ। দুজন গ্রেপ্তার হয়েছে। এখনও আতঙ্কে কাঁটা স্থানীয় বাসিন্দারা। হয়তো বের হলেই ঘটতে পারে দুর্ঘটনা, এই আশঙ্কায় ঘরবন্দি বহু পরিবার। কোনওরকমে কাজে সেরেই ঘরে ঢুকে পড়ছেন সকলে।
[আরও পড়ুন: ‘সস্তার অস্ত্র, গরমে বোম ফেটে যাচ্ছে’, বনগাঁ বিস্ফোরণ নিয়ে হাস্যকর দাবি অর্জুনের!]
এদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুরে বনগাঁ থানায় স্মারকলিপি জমা দিল উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কংগ্রেসের মানবাধিকার বিভাগ ৷ উত্তর ২৪ পরগনা মানবাধিকার সংগঠনের সভাপতি তুহিন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দোষীদের গ্রেপ্তার এবং আগামীতে যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে এই দাবি নিয়ে বনগাঁ থানায় আজ স্মারকলিপি জমা দিলাম।” কংগ্রেস জেলা নেতা কৃষ্ণপ্রসাদ চন্দ বলেন, “বক্সিপল্লি এলাকায় অতীতে দুষ্কৃতী তাণ্ডবের কথা শুনেছি৷ ফের ওই এলাকায় দুষ্কৃতীদের আনাগোনার খবর পাচ্ছি ৷ আমরা চাই পুলিশ তৎপর হয়ে দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করুক ৷
বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “২০১১ সালের পর আমরা বনগাঁয় দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব বন্ধ করে দিয়েছিলাম ৷ এখানে বিজেপি জেতার পর থেকে দুষ্কৃতীরা আবার সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে ৷ পুলিশকে বলা হয়েছে কোনও রাজনৈতিক রং না দেখে আগ্নেয়াস্ত্র-বোমা উদ্ধার করতে ৷” এদিকে বোমা বিস্ফোরণে কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় ধৃত অসিত অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূলের যোগের দাবি বিজেপির ৷ ধৃতের সঙ্গে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পাপাই রাহার একটি ছবি দেখিয়ে বিজেপি নেতা দেবদাস মণ্ডল বলেন, “ঘটনার পর অভিযুক্ত অসিত ও কাউন্সিলর পাপাই রাহা একসঙ্গে মৃত কিশোরের বাড়ির সামনে মাঠে কথা বলছিল৷ সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে ৷ এই ঘটনা প্রমান করে কিশোরের মৃত্যুর জন্য তৃণমূল নেতারাই দায়ী ৷দুষ্কৃতীদের সঙ্গে তৃণমূলে যোগাযোগ রয়েছে ৷” অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাউন্সিলর পাপাই রাহা। তিনি বলেন, “দেবদাস মণ্ডল সিপিএম আমলের দুষ্কৃতী ৷ এখন বিজেপি নেতা হয়েছে ৷ ওনার কথার কোন উত্তর দেব না৷”