শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: খাতা-কলমের দোকানের আড়ালে গোপনে বিক্রি হচ্ছিল নেউলের লোম দিয়ে তৈরি দুর্মূল্য তুলি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জলপাইগুড়ি শহরের এক দোকানে হানা দিয়ে প্রচুর ছবি আকার তুলি বাজেয়াপ্ত করল গরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগ। সহকারী বনাধিকারিক রাজু সরকারের নেতৃত্বে সোমবার দুপুরে এই অভিযান চালানো হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দোকানের মালিক এবং এক কর্মীকে আটক করা হয়েছে। সহকারী বনাধিকারিক রাজু সরকার জানান, নেউল বা মঙ্গুজ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে সিডিউল ২ তালিকাভুক্ত প্রাণী। বাঘ শিকারের মতো সমান অপরাধ নেউল শিকার। কোথা থেকে এই তুলি আসছে তা জানতে আটক দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বন্যপ্রাণী শিকার, পাচার এবং দেহাংশ ব্যবহার রুখতে দেশজুড়ে এই অভিযান চলছে বলে সহকারী বনাধিকারিক জানিয়েছেন।
[ গণতন্ত্রে মানুষই ‘ম্যান অফ দ্য ম্যাচ’, বিজেপির ভরাডুবিতে টুইট মমতার ]
বনদপ্তরের বক্তব্য, নেউল বনের সংরক্ষণ তালিকায় থাকা প্রাণী হলেও জঙ্গল সংলগ্ন শহর এবং গ্রামাঞ্চলে এদের দেখা মেলে। সাপে-নেউলে সম্পর্ক নিয়ে একাধিক প্রবাদ রয়েছে বাংলায়। এই নেউলই এখন বন্যপ্রাণী শিকারি এবং পাচারকারীদের নজরে।গরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগের সহকারী বনাধিকারিক রাজু সরকার জানান, এদের শরীরের লোমশ অংশকে পেন্টিং ব্রাশ বা তুলি তৈরির কাজে ব্যবহার হচ্ছে এই খবর অনেকদিন ধরেই কানে আসছিল তাদের। এদিন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শহরের ডিবিসি রোডের একটি দোকানে অভিযান চালান তারা। অতর্কিত অভিযানে উদ্ধার হয় ১ হাজার ১০০-রও বেশি তুলি। সবক’টি নেউলের লোম দিয়েই তৈরি। সেগুলি বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি এই তুলি কোথায় তৈরি হচ্ছে এবং কে সরবরাহ করছে তা জানতে আটক দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে সহকারী বনাধিকারিক জানিয়েছেন।
[ বিজেপির বনধে সাড়া মিলল না, দুর্গাপুরে গ্রেপ্তার লকেট-সায়ন্তন ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.