Advertisement
Advertisement
JMB terrorists

মুসলিম তরুণদের মগজধোলাই, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধের উসকানি! বীরভূম থেকে গ্রেপ্তার ২ JMB জঙ্গি

রামপুরহাট আদালতে পেশ করে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে এসটিএফ।

2 JMB terrorists arrested from Birbhum

প্রতীকী ছবি

Published by: Paramita Paul
  • Posted:May 9, 2025 2:22 pm
  • Updated:May 9, 2025 3:21 pm  

অর্ণব আইচ ও নন্দন দত্ত: ভারত-পাক সংঘাতের আবহে ফের রাজ্য থেকে গ্রেপ্তার ২ জামাত-উল-মুজাহিদিন জঙ্গী। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বীরভূমের নলহাটি এবং মুরারইতে অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করে রাজ্য় এসটিএফ। ধৃতদের বিরুদ্ধে মুসলিম তরুণদের মগজধোলাই করে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধের উসকানি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। আজ, শুক্রবার দুজনকেই রামপুরহাট আদালতে পেশ করে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে এসটিএফ।

ধৃত আজমল হোসেন, বয়স ২৮ বছর, বীরভূমের নলহাটির বাসিন্দা। আরেক ধৃত সাহেব আলি খান, বয়স ২৮ বছর মুরারইয়ের বাসিন্দা। দুজনেই এ দেশের নিষিদ্ধ জেহাদি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিনের সদস্য। জামাতের যে মডিউলের সদস্য ছিল এরা তাদের দায়িত্ব ছিল মুসলিম যুবকদের মগজধোলাই করা। মূলত রাষ্ট্রদ্রোহী, ধর্মীয় উসকানিমূলক বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া। পুরো বিষয়টিই করা হত এনক্রিপটেড ভার্সনে। সূত্রের খবর, দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট করতে রীতিমতো বিশেষ-বিশেষ জায়গা এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের হামলার ছক কষেছিল তারা। সেই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য মগজধোলাই করে তাদের জঙ্গি নেটওয়ার্কে নিয়োগ করত। এসটিএফ সূত্রে খবর, এর আগে আজমল বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। সেখানে জেহাদি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিল সে। শুধু তাই নয়, সঙ্গীদের নিয়ে বিস্ফোরক তৈরি ও আগ্নেয়াস্ত্র জোগারের চেষ্টা করছিল। তাদের লক্ষ্য ছিল ‘গাজাতুল হিন্দে’র আদর্শ প্রতিষ্ঠা করা। 

Advertisement

 

 

এ প্রসঙ্গে এসটিএফের ওসি ইন্দ্রজিৎ বসু জানান, “দেশের বাইরে দেশবিরোধী শক্তির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত আজমল এবং সাহেব। তাদের সঙ্গে রীতিমতো টাকার লেনদেনও চলত বলে খবর। আজ রামপুরহাট আদালতে পেশ করে তাদের ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছে।” হেফাজতে নিয়ে জেরা করে জামাত নেটওয়ার্কের বাকিদের হদিশ পেতে চাইছে তদন্তকারীরা। 

উল্লেখ্য, মাত্র দু’দিন আগেই বীরভূমের নলহাটিতে বিপুল পরিমাণে বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। সেই বিস্ফোরকে এক সঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটলে ভয়ংকর পরিস্থিতি হতে পারত। জেলার তিনটি শহর সিউড়ি, রামপুরহাট, বোলপুর কার্যত উড়ে যেত বলে অনুমান পুলিশ আধিকারিদের। এই বিস্ফোরক মজুতের সঙ্গে জামাত জঙ্গিদের কোনও যোগ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement