প্রতীকী ছবি।
শংকর রায়, রায়গঞ্জ: ট্যাব দুর্নীতি কাণ্ডে চোপড়ায় গ্রেপ্তার আরও ২। আসানসোল ও বসিরহাট থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে তাঁদের। ধৃতদের নাম মহম্মদ ইয়াসিন আলি ও মেহবুব আলম। দুজনই চোপড়ার বাসিন্দা। এই নিয়ে উত্তর দিনাজপুর থেকে মোট ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে চোপড়ার বাংলাদেশ সীমান্তের দাসপাড়া পঞ্চায়েত এলাকা থেকে মেহবুব আলম নামে বছর পঁচিশের এক যুবককে পাকড়াও করে বর্ধমানের আসানসোল সাইবার অপরাধ দমন শাখার পুলিশ। এর পরই সেই দাসপাড়ার দিঘাবানাহাট এলাকার বাড়ি থেকে মহম্মদ ইয়াসিন আলি নামে বছর তেইশের আরও একজনকে গ্রেপ্তার করে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট থানার পুলিশ। এদিন প্রথমে ধৃতদের চোপড়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তার পর মেহবুব আলমকে আসানসোল সাইবার সেল ও ইয়াসিনকে বসিরহাট থানার পুলিশ নিজেদের থানায় নিয়ে যায়। এদিন চোপড়ার আইসি সুরজ থাপা বলেন, “ধৃতদের শুক্রবার আসানসোল ও বসিরহাট আদালতে তোলা হবে।”
২৫ জন ধৃতদের মধ্যে আশি শতাংশ ধৃতের বাড়ি চোপড়ার সীমান্তের কাঁটাতারের কাছে। বাকিরা ইসলামপুরের রামগঞ্জ পঞ্চায়েত-সহ আশেপাশের পঞ্চায়েতের বাসিন্দা। ধৃতদের মধ্যে একাধিক সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের শিক্ষক যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছেন ইসলামপুর কলেজের দুই ছাত্র-সহ গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রের এজেন্টরাও। বাকিরা পরিযায়ী শ্রমিক, কেউ আবার সিএসপির গ্রাহক জোগাড়ের কাজে নিযুক্ত ছিলেন। কেউ আবার গৃহবধূ।
তবে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের বদলে ভুয়ো ছাত্রদের অ্যাকাউন্ট ভাড়া নিয়ে টাকা ঢোকানোর মূল ‘পাণ্ডা’ বলে অভিযুক্ত, চোপড়ার লক্ষ্মীপুর হাই স্কুলের করণিক বাবুল হুসেন ওরফে বাবর এখনও পলাতক। তাঁকে ধরতে সীমান্তবর্তী এই গ্রামে ঘাঁটি বেঁধেছেন বিভিন্ন জেলার তদন্তকারীরা। তবে ধৃতদের জেরা করে খুব তাড়াতাড়ি খোঁজ মিলবে বলে আশাবাদী পুলিশের কর্তারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.