Advertisement
Advertisement
Dol Utsav

দোল-হোলিতে হলুদ আবিরের রমরমা পুরুলিয়ায়, ভোটের বাজারে এ কোন ইঙ্গিত?

ভোটের আগে সবুজ, গেরুয়া সব ফিকে জেলায়।

2024 Lok Sabha Election: High demand of Yellow gulal in Purulia ahead of polls
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:March 24, 2024 9:15 pm
  • Updated:March 24, 2024 9:15 pm

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: সবুজ, গেরুয়া সব ফিকে। দোল, হোলির প্রাক্কালে পুরুলিয়ার বাজার কাঁপাচ্ছে হলুদ আবির (Yellow Gulal)! হলুদ আবার কোন রাজনৈতিক দলের প্রতি জনসমর্থনের ইঙ্গিত? লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে এই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। জেলার আবির প্রস্তুতকারকরা বলছেন, এই আবির বিপুল চাহিদার পিছনে কোনও রাজনৈতিক বিষয় নেই। রঙের সৌন্দর্যতেই বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু জেলার রাজনৈতিক মহল তা মানতে রাজি নয়। তাদের বক্তব্য, এর পিছনে কিন্তু অন্য কিছু লুকিয়ে রয়েছে। যা লোকসভা নির্বাচনে চাপে ফেলবে শাসকদল থেকে বিজেপিকে।

জেলার রাজনীতির খবরাখবর রাখলে সহজেই ব্যাপারটা বোঝা যাবে। হলুদ রঙ আসলে কুড়মি (Kurmi) সমাজের। আর সেই হলুদ রংই দোল, হোলিতে দেদার বিক্রির মধ্যে দিয়ে অন্য ইঙ্গিত যাচ্ছে। কারণ, জঙ্গলমহলের তিনটি আসনে আদিবাসী কুড়মি সমাজ প্রার্থী দিয়েছে। আর তার পরেই জেলা জুড়ে যেন হলুদ ঢেউ উঠেছে। গ্রামে গ্রামে হলুদ পতাকা, চৈত্রের রোদ থেকে বাঁচতে হলুদ গামছা। তবে কুড়মি জনজাতির মানুষজনের গলায় শুধু নয়। অন্যদের গলাতেও ওই গামছা দেখা যাচ্ছে। আর এই রঙের উৎসবে উড়ছে হলুদ আবির।

Advertisement

[আরও পড়ুন: রোজভ্যালির আমানতকারীদের টাকা ফেরানোর উদ্যোগ, হাই কোর্টের নির্দেশে খুলল ওয়েবসাইট]

তবে ভোটের ফলাফলকে ঘিরে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেই (Panchayat Election 2023) এই আবির উড়তে দেখা যায়। পুরুলিয়া (Purulia) শহরের দুলমির বাসিন্দা আবির প্রস্তুতকারক রাজেশ সাউ বলেন, “এবার হলুদ আবির সবচেয়ে বেশি বিক্রি। তার পরে চাহিদা রয়েছে গোলাপি, গেরুয়া, সবুজ, বেগুনি। তবে এর সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই। ভোটের বাজারে দোল, হোলিকে সামনে রেখে কোনও রাজনৈতিক দল এবারও বরাতও দেয়নি।”

Advertisement
ছবি: সুনীতা সিং।

এই জেলায় দুই আবির প্রস্তুতকারক যেমন চাহিদা অনুযায়ী হলুদ আবির বেশি তৈরি করেছেন। তেমনই জেলার বাইরে থেকেও এই আবির পুরুলিয়ায় ঢুকেছে। প্রস্তুতকারক রাজেশ সাউয়ের কথায়, “এবার বৃষ্টি মার খেয়ে গিয়েছে আবিরের বাজারে। ২০ কেজির ১০০ বস্তা আবির তৈরি করে বাজারে দিয়েছি। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি হলুদ।” দুলমিতে তার স্টলে ভেষজ আবিরও বিক্রি হচ্ছে।
প্রায় ২৫ কেজি ভেষজ আবির তৈরি করেছেন। বিজেপির জেলা সভাপতি বিবেক রাঙ্গা বলেন, “সবুজ, লাল আবির দেখলে মানুষ ভয় পান। গেরুয়া, হলুদ আবির দেখলে মানুষজন রঙ খেলতে পছন্দ করেন। তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই আমরা গেরুয়া আবির খেলব। তাছাড়া আমাদের রাজনৈতিক দলের রঙও গেরুয়া।”

[আরও পড়ুন: বড় ভূমিকা ছিল রাফালে চুক্তিতে, এবার বিজেপিতে যোগ প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধানের]

বিজেপির (BJP) জেলা সভাপতিও কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন হলুদ আবিরের বেশি বিক্রি। পুরুলিয়া কেন্দ্রে কুড়মিদের প্রার্থী তথা আদিবাসী কুড়মি সমাজের মূল মানতা (প্রধান নেতা)অজিতপ্রসাদ মাহাতো বলেন, “হলুদ আবির তো দোল, হোলিতে বেশি বিক্রি হবেই। জঙ্গলমহল জুড়ে আমাদের জাতিসত্তার আন্দোলন নিয়ে একটা উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। সেই কারণেই হলুদ আবিরের এত বেশি বিক্রি।” তবে আবির প্রস্তুতকারকরা বলছেন, সবুজ আবিরের বিক্রিও এই জেলার গ্রামে-গঞ্জে খুব একটা খারাপ নয়। পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, “আমরা সবুজ আবির দিয়ে আগামী দুদিন রঙ খেলে জনসংযোগ করব।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ