সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত কয়েক দিনে ধরে রাজ্যের সুস্থতার ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফটা স্বস্তি দিচ্ছিল বঙ্গবাসীকে। কিন্তু একইসঙ্গে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে সংক্রমিতের সংখ্যা। শনিবার যা সমস্ত অতীত রেকর্ড ভেঙে দিল। লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুও। রাজ্যজুড়ে লকডাউনের দিন সন্ধেয় এমন খবরে রীতিমতো ঘুম ওড়ার জোগাড়।
শনিবার রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত ২,৯৪৯ জন। যা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ। যার মধ্যে শুধু কলকাতাতেই আক্রান্ত ৬৮৪ জন। তবে কলকাতার পাশাপাশি সংক্রমণ বেড়েই চলেছে উত্তর ২৪ পরগনাতেও। সে জেলায় একদিনে ৬৫৩ জনের শরীরে থাবা বসিয়েছে ভাইরাস। এর ফলে বাংলায় মোট সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯২ হাজার ৬১৫। টেস্টিং বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে অ্যাকটিভ কেসও। বর্তমানে বাংলার মোট অ্যাকটিভ কেস ২৫ হাজার ৪৮৬।
[আরও পড়ুন: মানসিক অবসাদের জের, সেফ হাউসের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী করোনা রোগী]
তবে এদিন চিন্তার ভাঁজ গভীর করল মৃত্যুর সংখ্যা। স্বাস্থ্যদপ্তরের বুলেটিন বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার বলি ৫১ জন। কেবলমাত্র তিলোত্তমাতেই একদিনে ২০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ফলে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ২০০৫। তবে এর মধ্যেও আশা জোগাচ্ছেন করোনাজয়ীরা। মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হলেই দিশেহারা হওয়ার কোনও কারণ নেই। সুস্থ হয়ে এ কথাই যেন প্রমাণ করে দিচ্ছেন তাঁরা। নানা বয়সের মানুষই সুস্থ হয়ে উঠছেন সঠিক চিকিৎসায়। একদিনে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন ২০৬৪ জন। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনামুক্ত ৬৫ হাজার ১২৪ জন। ঊর্ধ্বমুখী সুস্থতার গ্রাফও। ৭০.৩২ শতাংশ মানুষ ভাইরাসকে জয় করতে সফল হয়েছেন।
লকডাউন, সামাজিক দূরত্ব পালন, মাস্ক-স্যানিটজার ইত্যাদি সবরকম ব্যবস্থাই নেওয়া হচ্ছে সংক্রমণ ঠেকাতে। আর তার সঙ্গেই ট্রেসিং, ট্র্যাকিং, টেস্টিংয়ের মাধ্যমে করোনাতে (coronavirus) নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে টেস্টিংয়ের সংখ্যাও। একদিনে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৫ হাজার ১৪৮টি। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট স্যাম্পেল টেস্ট হয়েছে ১০ লক্ষ ৭৯ হাজার ৬৫৭টি।