প্রতীকী ছবি।
জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: চোরাপথে ভারতে এসে বনগাঁয় গ্রেপ্তার তিন বাংলাদেশি। প্রাণভয়ে বুধবার এদেশে অনুপ্রবেশ করে তাঁরা। আশ্রয় নেন এক আত্মীয়ের বাড়িতে। খবর পেয়ে সেখান থেকেই পুলিশ গ্রেপ্তার করল তাঁদের। বৃহস্পতিবার ধৃতদের বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারির ঘটনায় পরিস্থিতি আরও বিগড়েছে। হিন্দুদের উপর অত্যাচার বাড়ছে বলেও অভিযোগ। এই আবহে বুধবারে চোরাপথে বনগাঁয় পালিয়ে আসে এক দম্পত্তি ও তাঁদের ভাগ্নে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম গীতা মণ্ডল, ভবসিন্ধু মণ্ডল ও তাঁদের ভাগ্নে সুদীপ মণ্ডল। ধৃতরা প্রত্যেকেই ওপার বাংলার গোপালগঞ্জের বাসিন্দা। ওই দম্পতির মেয়ে বর্ণা মণ্ডলের এ রাজ্যে বিয়ে হয়েছে। তিনি শ্রীরামপুরের বাসিন্দা। তাঁর দাবি, বাংলাদেশে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সে কারণেই তাঁর বাবা-মা ভারতে পালিয়ে এসেছেন। এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন তাঁরা। অনুপ্রবেশকারীরা যাঁর বাড়িতে থাকছিলেন সেই খোকন বিশ্বাস বলেন, “ওদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার শুরু হয়েছে। বেছে বেছে হিন্দুদের উপর অত্যাচার চালানো হচ্ছে। এঁরা ভয়ে এক ভাগ্নেকে সঙ্গে নিয়ে এখানে চলে এসেছেন। জানতে পেরে পুলিশ ধরেছে।” একই কথা দম্পতির মেয়ে বর্ণা মণ্ডল মুখে, “বাংলাদেশে সর্বত্র ভয়ের পরিবেশ। ভয়ে বুধবার বাবা-মা এখানে চলে এসেছেন। পুলিশ জানতে পেরে গ্রেপ্তার করেছে।”
এদিকে, হিন্দু সন্ন্যাসীর গ্রেপ্তারির পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছিল তা কার্যত স্বীকার করে অন্তর্বর্তী সরকার প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, ‘দেশের অস্থির এলাকায় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.