সঞ্জীব মণ্ডল, শিলিগুড়ি: কোমরে বেল্টের নিচে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে সোওয়া কোটি টাকার সোনা। পদাতিক এক্সপ্রেসে পাচারের সময় শুক্রবার এনজেপি রেল স্টেশন থেকে উদ্ধার তিন কেজি ছ’শো গ্রাম সোনা। ধৃত তিন। ওই সোনা মায়ানমার থেকে কোচবিহার হয়ে কলকাতায় পাচার হচ্ছিল বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দা বিভাগের কর্তারা।
এ যেন ঠিক সিনেমার মতো ঘটনা! তবে পুলিশের কাছে খবর ছিল আগে থেকেই। তাই প্ল্যান মতো শুক্রবার এনজেপি রেল স্টেশনে রাতে ট্রেন ঢোকা মাত্রই পদাতিক এক্সপ্রেসের জেনারেল বগিতে তল্লাশি চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতদের নাম রূপম সেন (২৯), প্রদীপ দেবনাথ (৪৭) এবং নীতীশ দেবনাথ (৪৮)।
[ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের হাতযশে এবার অ্যাপবন্দি শান্তিনিকেতনের ট্যুর গাইড]
রূপমের বাড়ি কোচবিহারের পুণ্ডিবাড়িতে। নীতীশের বাড়ি নাটাবাড়ি ও প্রদীপের বাড়ি রামকৃষ্ণপল্লিতে। শনিবার তাদের শিলিগুড়ির এসিজেএম আদালতে হাজির করা হয়। বিচারক অভিযুক্তদের জামিনের আবেদন সম্পূর্ণ খারিজ করে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ডিআরআইয়ের আইনজীবী রতন বণিক জানিয়েছেন, ওইদিন পদাতিক এক্সপ্রেসের দ্বিতীয় শ্রেণির কামরায় ছিল তিনজন। রূপমের কাছে এক কেজি ওজনের একটি এবং নীতিশের কাছ থেকে আরও এক কেজি ওজনের দু’টি সোনার বাট মিলেছে। প্রদীপের কাছ থেকে মিলেছে তিনটি সোনার বিস্কুট। এগুলির হলমার্ক চিহ্ন গলিয়ে ফেলা হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে এই সোনা খাঁটি বলেই জানিয়েছেন গোয়েন্দা বিভাগ। এগুলি মায়ানমার থেকে মোরে সীমান্ত দিয়ে কোচবিহারে ঢোকে। কোচবিহার থেকে হাতবদল হয়ে পাচারের পথে শুক্রবার রাত ন’টা নাগাদ এনজেপি থেকে আটক করেন ডিআরআই কর্মীরা। ডিআরআই সূত্রে খবর, ধৃতরা আন্তর্জাতিক সোনা পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত। তবে এগুলি কার কাছ থেকে নিয়ে কলকাতায় কোথায় ডেলিভারি দেওয়ার কথা ছিল তা এখনও জানা যায়নি। তবে গোয়েন্দা বিভাগের কর্তারা জানিয়েছেন, আগামী কয়েকদিনেই ধৃতদের জেরা করে সেই সত্যি সামনে নিয়ে আসব আমরা।
[সিঁড়ি দিয়ে নামানোর সময় খুলে গেল অক্সিজেনের নল, কিশোরের মৃত্যুতে ক্ষোভ পরিবারের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.