Advertisement
Advertisement

আরও পাঁচ মেডিক্যাল কলেজ তৈরি হবে রাজ্যে

পাঁচটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও সাতটি নার্সিং কলেজ তৈরির সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার৷

5 more medical colleges will be opened by state government
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 29, 2016 9:10 am
  • Updated:June 22, 2022 2:40 pm

স্টাফ রিপোর্টার: চিকিৎসক ও নার্সের সঙ্কট কাটাতে আরও পাঁচটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও সাতটি নার্সিং কলেজ তৈরির সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার৷ জেলা হাসপাতাল বা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের পাশেই হবে এই কলেজ৷ ফলে জমির সমস্যা নেই৷ বিল্ডিংও তৈরি হয়েছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে৷ তাই শিক্ষক বা ফ্যাকাল্টি ও পরিকাঠামো ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে কিছু নিয়ম শিথিল করে দ্রুত অনুমোদনের জন্য মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার দ্বারস্থ হবে রাজ্য৷ পাশাপাশি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসক ও শিক্ষকদের অবসরের বয়সও ৬৫ থেকে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য৷ হেলথ সার্ভিস, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসে ৬২ থেকে বাড়িয়ে অবসরের বয়সসীমা করা হচ্ছে ৬৮৷

অন্যদিকে, মেডিক্যাল সার্ভিসের ক্ষেত্রে অবসরের বয়সসীমা ৬৫ থেকে বেড়ে ৭০ হচ্ছে৷ সেক্ষেত্রে অভিজ্ঞ অধ্যাপক-চিকিৎসকের অভাব অনেকটা মিটবে৷ বেসরকারিভাবে যে চিকিৎসকরা চিকিৎসায় রত, তাঁদেরও সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসায় যুক্ত করতে আবেদন জানানো হবে৷

Advertisement

সবমিলিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য-পরিষেবায় আরও উন্নতিতে শুক্রবার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এদিন নবান্নে এ ব্যাপারে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, স্বাস্থ্যসচিবদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন তিনি৷ আগামী ২৮ ডিসেম্বর নজরুল মঞ্চে এক অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট চিকিৎসকদের সংবর্ধনাও জানাবে রাজ্য সরকার৷ সেখানেই ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পের সূচনা হবে৷ এই প্রকল্পের ফলে রাজ্যের চুক্তিভিত্তিক কর্মী, প্যারাটিচার, সিভিক ভলান্টিয়ার, আশা বা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা ‘ক্যাশলেস বেনিফিট’ স্বাস্থ্যবিমার সুবিধা পাবেন৷ হাসপাতালগুলিতে মেডিক্যাল কিট বাড়ানোর বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে এদিনের বৈঠকে৷

Advertisement

পরে প্রাক্তন স্বাস্থ্যসচিব ও বর্তমান স্বরাষ্ট্রসচিব মলয় দে, বর্তমান স্বাস্থ্যসচিব আর এস শুক্লা জানান, উত্তরবঙ্গের কোচবিহার ও রায়গঞ্জ এবং রামপুরহাট, পুরুলিয়া, ডায়মন্ডহারবারে মোট পাঁচটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ তৈরি হবে৷ দ্রুত অনুমোদনের জন্য কেন্দ্র ও এমসিআই-কে চিঠি পাঠাবে রাজ্য৷ ফ্যাকাল্টি ও পরিকাঠামোয় কিছু ক্ষেত্রে নিয়ম শিথিলের জন্যও আবেদন জানানো হবে৷ স্বাস্থ্যসচিব বলেন, “শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে কোনও প্রভাব পড়বে না এমন ক্ষেত্রেই নিয়ম শিথিল করার আবেদন জানানো হবে৷” সবগুলি কলেজেই জমি রয়েছে৷

ভবন নির্মাণের কাজও প্রায় শেষ৷ তাই পরিকাঠামোগত সমস্যা হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে৷ রামপুরহাটে ৩০০ শয্যার জেলা হাসপাতাল রয়েছে৷ তেমনই রায়গঞ্জ, পুরুলিয়ায় ৫০০ শয্যা করে ও ডায়মন্ডহারবারে ৩০০ শয্যার মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল রয়েছে৷ আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই যাতে পাঁচটি মেডিক্যাল কলেজই অনুমোদন পায়, সে ব্যাপারে উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য৷ তবে কোনও কারণে তা না হলেও ২০১৮ সাল থেকে পুরোপুরিভাবে পাঠ্যক্রম চালু হবে বলে আশাবাদী রাজ্যের আধিকারিকরা৷ সেক্ষেত্রে প্রতিটিতে একশো করে প্রাথমিকভাবে অন্তত মোট ৫০০ আসন বাড়বে মেডিক্যাল স্নাতক-শিক্ষায়৷ ফলে মোট আসন বেড়ে হবে ৩৬৫০৷ সরকারি মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যাও বেড়ে হবে ১৮টি৷ স্বরাষ্ট্রসচিব ও স্বাস্থ্যসচিব বলেন, “আদিবাসী এলাকায় নার্স তৈরিতে জোর দেওয়া হচ্ছে৷ আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই যাতে চালু করা যেতে পারে, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে৷” বেসরকারিভাবে প্র্যাকটিস করছেন এমন ডাক্তারদের সরকারি হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত করার উদ্যোগও নিয়েছে রাজ্য সরকার৷ আর এস শুক্লা বলেছেন, “প্রাইভেট ডাক্তারদের সরকার আবেদন করবে৷ দিনপিছু বা ঘণ্টাপিছু পারিশ্রমিক বা ভাতাও দেওয়া হবে৷” এজন্য বিজ্ঞাপন দেবে সরকার৷ ব্যক্তিগতস্তরেও আবেদন করা হবে বলে জানানো হয়েছে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ