সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চাকরির টোপ দিয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ। এই অভিযোগে ছ’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে দু’জন শিক্ষকও রয়েছে।তাদের নাম সুস্মিতা হালদার, রাকেশ জানা, তমাল দিন্দা, সোমনাথ চক্রবর্তী, সুরেশ জানা ও অভিজিৎ রাউত। ধৃতদের বাড়ি দুই মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায়। এদের মধ্যে সুরেশ জানা ও অভিজিৎ রাউত পেশায় শিক্ষক। টাকা নিয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই অভিজিতের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে সাড়ে আট লক্ষ টাকা। জেরায় টাকা নেওয়ার অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছে ধৃতরা।
রাজ্যের চাকরি পরীক্ষার অন্যতম প্ল্যাটফর্ম এসএসসি। সেই এসএসসিকে ঘিরে উঠল আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ। আর অভিযুক্তদের তালিকায় স্বয়ং দুই শিক্ষক। এই খবরে আলোড়ন পড়েছে রাজ্যের শিক্ষা মহলে। বেশ কিছুদিন ধরেই বিতর্কে জড়াচ্ছে শিক্ষকদের নাম। সবে সবে শেষ হয়েছে চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা। এবার পর্ষদের তরফে পরীক্ষার হলে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকলেও বাস্তবে তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর আগে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ প্রতিটি পরীক্ষার আগেই খোলা হয়েছে প্রশ্নপত্র। তবে অঙ্ক পরীক্ষার পরই খবরটি ছড়ায়। অন্যদিকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর দিনেই পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন নিয়ে ঢুকে পড়েন এক শিক্ষক। এনিয়েও শুরু হয়েছে বিতর্ক। ঘটনাটি সুভাষনগর হাই স্কুলের। হাই স্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষক নিরঞ্জন অধিকারী ফোন নিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়।
এদিকে মাধ্যমিকে প্রশ্ন ফাঁসের কাণ্ড থেকেও শিক্ষা নিতে পারেনি জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির সুভাষনগর উচ্চ বিদ্যালয়। প্রশ্নপত্র জালিয়াতির ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক হরিদয়াল রায়ের ওই স্কুলকে স্পর্শকাতর কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করেছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.