সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: দমদম বিমানবন্দর থেকে এক আত্মীয়কে সঙ্গে নিয়ে ফিরছিলেন। বৃহস্পতিবার ভোরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন একই পরিবারের সাতজন। মৃতের মধ্যে তিনজন মহিলা ও চারজন পুরুষ।
[আরও পড়ুন: হলদি নদীর পারে যুবকের মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার, খুনের কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা]
মৃতদের মধ্যে ৬ জনের বাড়ি বিষ্ণুপুর থানার দক্ষিণ গৌরীপুরে, আর একজন জলিলপুরের বাসিন্দা। এক আত্মীয়কে আনতে গাড়ি চেপে পরিবারের ছয়জন সদস্য গিয়েছিলেন দমদম বিমানবন্দরে। ফেরার পথে বৃহস্পতিবার ভোরে দুর্ঘটনা ঘটে উচ্ছেখালি এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছেন, অত্যন্ত দ্রুত গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন চালক। গাড়িটি যখন উচ্ছেখালি এলাকায় পৌঁছায়, তখন গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারান তিনি। উচ্ছেখালি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পিছনে একটি পুকুরে উলটে যায় গাড়িটি। ঘটনাস্থলেই মারা যান গাড়ির ছয়জন সওয়ারি। এমনকী, দমদম বিমানবন্দর থেকে যাঁকে নিয়ে ফিরছিলেন তাঁরা, দুর্ঘটনায় তিনিও প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন গাড়ির চালক। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি পালিয়েছেন জানা গিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মৃতদের কারও শরীরেই আঘাতের কোনও চিহ্ন নেই। গাড়িটি পুকুরে পড়ে যাওয়ায় জল ডুবেই সকলে মারা গিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। মৃতদেহটিগুলি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। এদিকে ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়।
স্রেফ কলকাতাই নয়, জেলা শহর ও মফঃস্বলেও বেপরোয়া গতির গাড়ি ও বাইকের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। পুলিশের বক্তব্য, স্বাধীনতা দিবসের সকালে ফাঁকা রাস্তা দেখেই গাড়ির গতি বাড়িয়ে দিয়েছিলেন চালক। গাড়িতে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের হয়তো বাড়ি ফেরার তাড়াও ছিল। আর তা জেরেই ঘটে গেল এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। চালককে খুঁজছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: মেয়ে হওয়ায় বাবা-মার চক্ষুশূল ৩ খুদে, হাসপাতালই ঠিকানা একরত্তিদের]